এই প্রথম নয়, মাঝে মাঝেই তিনি নিজের গাওয়া গান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তবে পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে উর্দি পরে গানের ভিডিও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এএসআই বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী বলেন, ”আমি ডিউটি করছিলাম, সেই সময় এক ভাই আমাকে গান করার অনুরোধ জানায়। দীর্ঘদিন গানের রেওয়াজ নেই। তবুও তার অনুরোধে গান করি। আশা করি সকলে আমার এই গান ভালবেসেছেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত পড়বে কবে বাংলায়? হেমন্তেই একাধিক রাজ্যে বৃষ্টি! কালীপুজোর সময়ে কেমন থাকবে আবহাওয়া
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে বাড়ি রাজ্য পুলিশের এএসআই বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। পরিবারের অনেকেই গান বাজনার সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ। চাকরি পাওয়ার আগে প্রায় ছয় বছর গান শিখেছেন। সেই সময় নিয়মিত গান গাইতেন, অনুষ্ঠান করতেন। তবে পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর গানের রেওয়াজ ছাড়তে হয়েছে। কাজের চাপে এখন আর সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তবে কাজের ফাঁকে যেটুকু অবসর পান, সেই নিজে নিজে গুনগুন করে এখনো গান করেন তিনি। কারণ গান তাঁর ভালো লাগে। তাই গান গাওয়া ছাড়তে পারছেন না তিনি। বাড়িতে বসে নিজের ভাঙা গলায় গুনগুন করে গাওয়া গান মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখান থেকেই অনেকে জানেন, তিনি ভাল গান করেন। এএসআই বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী বলেন, ”ছোটবেলা থেকেই আমার গান ভাল লাগে। এক সময় গান শিখেছি, বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর আর হয়ে ওঠেনি। তবে এখনও গান আমার ভাল লাগে।”
দুর্গাপুজোর সময় হবিবপুর ব্লকের আইহো এলাকায় পুজোর ডিউটি করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় একটি পুজো মণ্ডপে যান। সেখানেই উদ্যোক্তারা তাঁকে গান করার অনুরোধ করেন। উদ্যোক্তাদের কথায় মঞ্চে উঠে গান করেন। পরপর তিনটি গান করেন তিনি। রেওয়াজ না করলেও তাঁর গানের গলায় মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকেরা। এমনকি আরও গান করার অনুরোধ করেন। এসআই একজন পুলিশ কর্মী হলেও তাঁর নেশা গান গাওয়া। তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও ভুলতে পারেননি গানের কলি। অবসরের পর তিনি গান গেয়েই সময় কাটাতে চান।
হরষিত সিংহ