স্বামী তাপস পালের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। কেটে দেওয়া পায়ের আরো একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়েছেন। একদিকে স্বামীর চিকিৎসা, অপরদিকে সংসারের খরচ জোগাড় করতে চরম সমস্যায় পড়েছেন অর্চনাদেবী।
আরও পড়ুন- মালদহের বাজারে বাজারে হানা ফুড সেফটি দফতরের! বাজেয়াপ্ত সন্দেহজনক মশলা! দেখুন..
advertisement
মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন শিল্পী তাপস পাল (৫০)। বাড়ি পুরাতন মালদহর মহানন্দা কলোনি এলাকায়। গত দুই মাস ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর ডান পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।চিকিৎসকেরা আরও একবার অস্ত্রোপচারের কথাও বলেছেন। তাপস পালের পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী অর্চনা পাল ও দুই মেয়ে। এক মেয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তাপস পাল। তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই চরম কষ্টে দিন কাটছে পরিবারের। নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের পরেও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। এখন আরো একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তার ওপর সংসারের নিয়মিত খরচ। এমন অবস্থায় অর্চনা দেবী, স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার খরচের টাকা জোগাড় করতে সাহায্যের আশায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আন্তঃ কোচিং ক্যাম্প অ্যাথলেটিক মিটে চারটি পদক পেল মালদহ
অসহায় স্বর্ণ শিল্পীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। রবিবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির হাতে তুলে দেওয়া হয় অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী। সংগঠনের অফিসে ডেকে অর্চনা দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সমস্ত কিছু।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, একজন স্বর্ণশিল্পী মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবার। এই অবস্থায় সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় অসুস্থ স্বর্ণশিল্পীর স্ত্রীর হাতে। আগামী দিনে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।"
Harashit Singha