বর্তমানে আদিনা ফরেস্টের একাংশ জুড়ে গাছের মগডালে শামুকখোল পাখির আনাগোনা। বাসা তৈরি করছে, কেউ আবার উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিছু কম পাখি এসেছে এমনটাই দাবি বন দফতরের কর্মীদের। আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখিদের থাকার মতো নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। পাখি দেখার জন্য মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিপ্রেমী মানুষ আসেন এখানে।
advertisement
মালদহ জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজনন করার জন্য মূলত এখানে আসে শামুকখোল প্রজাতির পাখি। মে মাস থেকে পাখি আসা শুরু হয়। মূলত হিমালয়ের পাদদেশে থেকে মালদহের আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল প্রজাতির পাখি আসে। এই বছরেও মে মাসে প্রথম শামুকখোলা পাখি দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অগাস্ট মাসে সব থেকে বেশি পাখি দেখা যায়। এখানে পাখিগুলো বাসা তৈরি করে থাকে। সেখানে ডিম পাড়ে। বাচ্চার জন্ম হলে আবার ফিরে চলে যায়।
বন দফতরের কর্তারা জানান, এক একটি বাসায় তিন থেকে চারটি করে বাচ্চা হয়। বাচ্চা একটু বড় হয়ে উড়তে শিখলেই চলে যায়। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে যেতে শুরু করে।প্রতি বছর বন দফতরের উদ্যোগে এই শামুকখোল পাখির সুমারি করা হয়। এই বছরেও পাখি সুমারি করার পরিকল্পনা রয়েছে।বর্তমানে নিয়মিত পাখিদের দেখভাল ও অন্য কোনও সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন আদিনা ফরেস্টের বনকর্মীরা।
পর্যটকরাও যাতে সুষ্ঠুভাবে পাখি দেখতে পারেন সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। উত্তর দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক মোজাম্মেল বলেন, ‘‘শুনেছি প্রতিবছর এখানে পরিযায়ী পাখি ভিড় করে। তাই আমরা পাখি দেখতে এসেছি আদিনা ফরেস্ট। সত্যিই এখানে প্রচুর পাখি এসেছে, দেখে খুব ভাল লাগল।’’





