আসাম ও নাগাল্যান্ডের তিন পাচারকারী এবং মালদহের বৈষ্ণবনগরের এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন এসটিএফ কর্তারা। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের মাধ্যমে ধৃতদের এদিনি মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল দীপ রায় ও রাকেশ শর্মা। এদের বাড়ি আসামে। তাফাজুল নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা ও হবিবুরের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্য এসটিএফের মালদহ শাখার কর্তারা হানা দেয় ইংরেজবাজারের বাঁধাকপুকুর এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একটি গাড়ি থেকে সন্দেহজনক চারজনকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট।
advertisement
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে বাড়ির পোষ্য়টি যেন থাকে সুরক্ষিত! কীভাবে রাখবেন ওকে, জানেন?
প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফ কর্তারা জানতে পারেন, মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ এর হাতে অভিযুক্তরা ধরা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: টেট আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি অভিযানের তীব্র নিন্দা, সুবিচার চান সৃজিত
জানা গিয়েছে, তাঁদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। চরা বাজারে যেগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা। মালদহ জেলা বিভিন্ন নেশা ও মাদকদ্রব্য পাচার চক্রের মূল করিডর হয়ে উঠছে ক্রমশ। তারই প্রমাণ এদের এই সাফল্য। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মালদহে পাচার চক্রের যোগসূত্র মিলেছে এদিনের সাফল্যে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারত নয় এই পাচার চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশ জুড়েই। ধৃত চারজনকে শুক্রবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। এই বাজার চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে সেই সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
হরষিত সিংহ






