মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি সেন বাড়ির পুজো আসলে বর্ধমানের। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা রঘুনন্দন সেন ছিলেন বর্ধমানের শ্রীখণ্ডের বাসিন্দা। সেখানে নিয়মিত দুর্গাপুজো করতেন। রঘুনন্দন সেনের মামার বাড়ি মালদহের কোতোয়ালি। মামা রাধানাথ চৌধুরীর কোনও সন্তান ছিল না। তাই ভাগ্নে রঘুনন্দন সেনকে নিজের কাছে ডেকে নেন বিষয় সম্পত্তি দেখভালের জন্য। রঘুনন্দন সেন মালদহে চলে গেলে শ্রীখণ্ডের মায়ের মন্দিরে পুজো বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিপদেই জ্বলে ওঠে রাজ রাজেশ্বরীর হোমকুণ্ড, বনেদিয়ানায় ঠাসা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস
পরিবারের সদস্যদের দাবি, রঘুনন্দন সেনকে স্বপ্নাদেশে পুজোর আদেশ দেন দেবী দুর্গা। শ্রীখণ্ডের মন্দিরের মাটি নিয়ে এসে কোতোয়ালিতে পুজো শুরুর স্বপ্নাদেশ দেন। স্বপ্নাদেশ পেয়েই রঘুনন্দন সেন শ্রীখণ্ডের ঠাকুরদালান থেকে মাটি নিয়ে এসে পুজো শুরু করেন কোতোয়ালিতে। তখন থেকেই কোতোয়ালির সেন বাড়ির পুজো নামেই পরিচিত এই দুর্গাপুজো।
আরও পড়ুনঃ ভোগ খেতে আসতেন নজরুল ইসলাম, উত্তরপাড়ার চট্টোপাধ্যায়দের দুর্গাপুজোর গৌরবময় কাহিনী
বর্তমানে রঘুনন্দন সেনের বর্তমান প্রজন্ম পুজোর সঙ্গে যুক্ত। বছরের অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকলেও পুজোর সময় সকলে একত্রিত হন। সকলে মিলে মিশেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। দশমীর দিন পরিবারের সকলে মিলে দেবী দুর্গাকে নৌকায় করে কালিন্দী নদীতে বাইচ খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুজোর পাঁচ দিন ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিবারের সব সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানে।
হরষিত সিংহ