একদিনের অবসর কাটাতে মালদহ ছাড়াও বাংলা ও বিহারের বহু পর্যটক এখানে আসে। বছরের অন্যান্য সময়ে তেমন ভিড় না হলেও শীতের মরশুমে বহু মানুষ এখানে আসেন। মূলত পার্কের আশেপাশে পিকনিক করতে আসেন সাধারণ মানুষ।এক সময় পরিচর্যা এবং রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল ডিয়ার পার্ক। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নতুন ভাবে সেজে উঠেছে সেই পার্ক। এখন প্রত্যেকদিন ভিড় হচ্ছে মানুষের।
advertisement
হরিণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এখন। আনা হয়েছে রং বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গ্রাম্য পরিবেশে শীতকালে এই ডিয়ার পার্কের মনোরম প্রকৃতি পর্যটকদের আরও আকর্ষণ করবে বলে মত কর্তৃপক্ষের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বারদুয়ারিতে ২০০৩ সালে তৈরি হয় শিশু উদ্যান এবং ডিয়ার পার্ক। শুরুর সময় এই পার্কে ছিল ছয়টি হরিণ।একসময় পরিচর্যা এবং রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে বেহাল হতে থাকে পার্কের অবস্থা। সেই সময় সরকারি ভাবে পার্কটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয়রা বাধা দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন করে সাজানো হয় পার্কটি।
পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় এই পার্ককে।সৌন্দর্যায়নের জন্য নেওয়া হয় বিভিন্ন পরিকল্পনা। নতুন করে আনা হয় অনেক গুলো হরিণ। চালু হয় বোটিং। তারপর থেকেই দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসছেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর সহায়তায় নিয়ম মত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বারোদুয়ারি ডিয়ার পার্ক। আসছে শীতকাল। শীতের মৌসুমে পর্যটকদের আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।বর্তমানে ২৭টি হরিণ রয়েছে এই পার্কে। খুব সুন্দর ভাবে তাদের পরিচর্যাও করা হচ্ছে। এই পার্কে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা ধার্য্য রয়েছে। শিশুদের জন্য বিনামূল্যে।
হরষিত সিংহ