পুজোর আগে এক বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। তন্ত্র মতে পুজো হয় মহাকালীর। এমনকি বলি পর্যন্ত হয় এখানে।মালদহের ইংরেজবাজার শহরের গঙ্গাবাগের ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির কালীপুজো এখন দশ মাথার মহাকালী নামেই পরিচিত। তবে প্রথমদিকে এই মহাকালী পুজো কেষ্ট মাষ্টারের পুজো নামেই ইংরেজবাজার সহ গোটা জেলায় পরিচিতি ছিল। ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন কমলকৃষ্ণ চৌধুরী তিনি কেষ্ট মাস্টার নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন ব্যায়াম প্রশিক্ষক ছিলেন, পাশাপাশি নিজে লাঠি খেলা সহ বিভিন্ন শারীরিক কৌশলে পারদর্শী ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন - সাইক্লোন তৈরি হলে নাম হবে Sitrang, মানে কী এই নামের! রইল ভয় দেখানো সাইক্লোনের সব আপডেট
ইংরেজশাসন থেকে মুক্তি পেতে তিনি গঙ্গাবাগে ১৯৩০ সালে ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির নামে একটি ক্লাব তৈরি করেন। সেখানে অবিভক্ত বাংলার বহু যুবককেরা শরীর চর্চা সহ বিভিন্ন শারীরিক করসত শিখতে আসতেন। এই ব্যায়াম সমিতিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শক্তি অর্জন করতেই এখানে শুরু হয় শক্তির আরাধনা।
আরও পড়ুন - BCCI Selection Committee: রজার বিন্নি আসতেই এবার চেতন শর্মার চাকরিতে কাঁচি! বোর্ডের অন্দরে জোর ফিসফাস
কমল কৃষ্ণ চৌধুরী অর্ধেক কেষ্ঠ মাস্টারের হাত ধরে শুরু হয় দশ মাথা বিশিষ্ট মহাকালীর পুজো। ইংরেজ শাসন চলাকালীন বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হতেন ভারতীয়রা। পুজো অনুষ্ঠানেও বাধা দেওয়া হতো ইংরেজদের পক্ষ থেকে। তাই রাতের অমাবস্য নয় মহাকালীপুজো এখানে ভূত চতুর্দশীতেই দেওয়া হত প্রথম থেকে তান্ত্রিক মতে মহাকালীর পুজো অনুষ্ঠিত হয় শুধু ১০ মাথা নয় মহাকালীর ১০ হাত ও দশ পা-ও রয়েছে৷ প্রতিবার নিচে শিব নেই পরিবর্তে নর মুন্ডু থাকে। মালদা শহরের এই মহাকালী পুজো এ বছর ৯৩ বছরে পড়ল বর্তমানে মালদহ জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পূজোর পরিধি ছড়িয়েছে ।
Harshit Singh