অপরদিকে মালদহের আমসত্বের জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করেছে মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। আমসত্বের জিআই ট্যাগ পেলে দেশ ও বিদেশের বাজারে মালদহের আমসত্ত্ব নিজস্ব পরিচিতিতে বিক্রি হবে।এতে ব্যাবসায়ী থেকে প্রস্তুতকারীরা অনেকটাই লাভবান হবেন।
আমের জেলা মালদহ। আম ও আমজাত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে জেলার অর্থনীতি অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে। আমসত্ত্ব রয়েছে প্রথম সারির তালিকায়। পাকা আম থেকে বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমসত্ব তৈরি করা হয়। যে সমস্ত প্রজাতির আমের আঁশ কম থাকে সেগুলি থেকে ভালো মানের আমসত্ত্ব তৈরি হয়।
advertisement
মূলত গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া প্রজাতির আমের ভাল আমসত্ত্ব তৈরি হয়। পাকা আমের শাঁশ বার করে কাপড়ের উপর আস্তরণ দেওয়া হয়। কড়া রোদে সেগুলি শুকোতে হয়। একাধিক আস্তরণ তৈরি করে পুরু আমসত্ত্ব তৈরি করা হয়। সেগুলিকে রৌদ্রে ভালো করে শুকিয়ে রাখা হয় সংরক্ষিত করে। বছরভোর বিক্রি হয় আমসত্ত্ব। আমসত্ত্ব প্রস্তুতকারী কাকলি সরকার বলেন, পাকা আম থেকে মূলত আমসত্ত্ব তৈরি হয়। আমসত্ত্ব তৈরির একাধিক পদ্ধতি রয়েছে। আমরা আমসত্ত্ব তৈরি করলেও দাম সেরকম পায় না। ছয় মাসের বেশি বিক্রি করতে পারিনা। আমরা চাই সরকারি সাহায্য
মালদহের ইংরেজবাজার, রতুয়া, মানিকচক, কালিয়াচক ব্লকে সব থেকে বেশি আমসত্ত্ব তৈরি হয়ে থাকে। জেলার অনান্য ব্লকেও রয়েছে আমসত্ত্ব তৈরির প্রবণতা। মূলত গ্রামীণ এলাকার মহিলারা আমসত্ত্ব তৈরির কাজ করেন। মালদহ জেলার বাজারে ভাল মানের আমসত্ত্ব ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সাধারণত। তবে চলতি মরশুমে আমের বেশি হয়েছে। তাই দাম কিছুটা কমতে পারে। এখনো মালদহ জেলা আমসত্ত্ব বিক্রির হাব বা প্রশাসনিক স্তরে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি ।
আরও পড়ুন: Darjeeling: পাইনে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম, ঘরে ঢোকে মেঘের দল, চা-মোমো-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাটায় ক্লান্তি
প্রস্তুতকারীরা নিজেদের মত বিক্রি করে থাকেন আমসত্ত্ব। জেলার প্রস্তুতকারী থেকে ব্যবসায়ীদের দাবি প্রশাসন আমসত্ত্ব বিক্রির ব্যবস্থা করুক সরকারি উদ্যোগে। আমসত্ত্ব বিক্রেতা নব কুমার সরকার বলেন, আমরা সেরকম দাম পায় না। কখনো দাম বাড়ে আবার কখনো দাম কমে। স্থায়ী কোনো বিক্রির ব্যবস্থা নেই। চেনা পরিচিতরা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যায়।
হরষিত সিংহ





