ইতিহাস ঐতিহ্যে ভরপুর মালদা জেলা। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের নানান নিদর্শন। সেগুলির মধ্যে অধিকাংশ এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। গৌড়ের মূল রাজধানী বর্তমান অবস্থান কিছু নিদর্শন এখনও রয়েছে। তবে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ গুলির মধ্যে অন্যতম শিবডাঙ্গা গ্রামের প্রাচীন শিব মন্দির। ইতিহাসবিদের মতে, গৌড়ে পাল আমলের এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। মন্দিরের ইটগুলো গৌড়িয় ইট।
advertisement
এক সময় মন্দিরটি সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশায় পড়ে ছিল। সেই সময় মন্দিরের উপরে বটগাছ জন্মায়। বর্তমানে সেই বটগাছ বিশাল আকার ধারণ করেছে। মন্দিরের দেওয়ালে বট গাছের ঝুড়ি বেয়ে উঠেছে। গোটা মন্দির ঘিরে রেখেছে বট গাছের ঝুড়ি থেকে গুড়ি। প্রতি সোমবার জেলা ও জেলার বাইরের বহু দর্শনার্থী থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। শ্রাবণ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় পুজো। তবে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয় ভাদ্র মাসে। সেই সময় দূর দূরান্তের অনেকেই আসেন। সপ্তাহব্যাপী চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রাচীন এই মন্দির দেখতে বহু মানুষ আসেন নিয়মিত। গৌড়ের প্রাচীন নিদর্শন এই শিব মন্দির।
আরও পড়ুন: ৫০ হাজার টাকা বাপের বাড়ি থেকে না আনায় একী হল গৃহবধূর! ভয়াবহ শ্বশুরবাড়ি!
আরও পড়ুন:
বর্তমানে দর্শনার্থীদের মধ্যে এই মন্দিরে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাচীন এই মন্দির ঘিরে বিশাল বট বৃক্ষ মূল আকর্ষণ। মন্দির ঘিরে রেখেছে বট গাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা নিয়মিত এই মন্দিরের সংস্কার করছেন। এই মন্দির সংস্কারের মধ্যে দিয়ে প্রাচীন এই মন্দির টিকিয়ে রেখেছেন স্থানীয়রা। মন্দির ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে সাধারণ মানুষের আকর্ষণ। একদিকে ইতিহাস অপরদিকে মন্দিরের সৌন্দর্য্য বরাবরই আকর্ষণীয় দর্শনার্থীদের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন কুমার রায় বলেন, সম্ভবত পাল আমলে তৈরি এই মন্দির। সংস্কারের অভাবে ভগ্নদশায় পড়েছিল মন্দিরটি। ২০০২ সাল থেকে মন্দিরের সংস্কার শুরু হয়। বহু ভক্ত নিয়মিত আসেন এই মন্দিরে। বছরে দুইবার ধুমধামের সঙ্গে পুজো হয়।
হরষিত সিংহ