পুজো শেষে বিশাল আকারের এই লাড্ডু ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।রবিবার বিশাল এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে সূচনা হয়েছিল হনুমান জয়ন্তীর। প্রায় ৩০০- ৪০০ জন মহিলা কলস যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। জল নিয়ে এসে মন্দির পরিষ্কার করে হনুমান জয়ন্তী উৎসবের শুভ সূচনা হয়।মন্দিরের সেবাইত প্রভুজি মিশ্রা জানান, ''প্রতিবছর হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে কোনও না কোনও ভক্ত ১০১ কেজি ওজনের লাড্ডু ভোগ দিয়ে থাকেন এই মন্দিরে। এই বছরেও পাঁচজন ভক্ত মিলে ১০১ কেজি ওজনের লাড্ডু ভোগ দিয়েছেন। এই হনুমান মন্দিরে দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন। পাঁচ দিন ধরে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে চলে পুজো-আরাধনা।কলস যাত্রার মধ্য দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর সূচনার পর সোমবার ঠাকুরের অভিষেক হয়। মঙ্গলবার হনুমান চালিশা ও আরতি হয়। বুধবার অখণ্ড রামায়ন পাঠ। বৃহস্পতিবার মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে প্রসাদ বিতরণ হয়ে শেষ হয়। এ'বছর ১৩০ জনের উপরে সুয়ামনি ভোগ দিয়েছেন।''
advertisement
গত বছর প্রায় ৫০০০ ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করেছিলেন । এই বছর প্রায় সাত থেকে আট হাজার ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করবেন বলে আশা করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রতিবারের মতো এ'বছরও হনুমান জয়ন্তী উৎসব খুব ধুমধাম করে পালন করে পালিত হবে। হনুমান জয়ন্তী উৎসবে প্রতিবেশী জেলা এমনকি বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও ভক্তরা মন্দিরে আসেন। ২২ বছর ধরে এই হনুমান জয়ন্তী উৎসব মালদহ শহরের দক্ষিণ বালুচরে পালন করা হচ্ছে।
হরষিত সিংহ