মালদহের হবিবপুর ব্লকের অনন্তপুর ও ইংরেজবাজার ব্লকের মহদীপুরের শতাধিক যাদব সম্প্রদায়ের মানুষজন এই খেলায় নিজের গবাদিপশু নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। এই খেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। শূকর বধের পর নিজেদের মধ্যে লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করেন সকলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা।
advertisement
এই গাই পাহুর বা শূকর বধ প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এমনটায় দাবি বর্তমান প্রজন্মের। তাঁদের কথায় শ্রীকৃষ্ণ এই খেলার সূচনা করে ছিলেন। তারপর থেকেই যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই খেলার সূচনা হয়। মূলত অশুভ শক্তির বিনাস ঘটাতেই এই খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। তবে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই খেলা। এখন জেলার গুটি কয়েক গ্রামে দেখা যায়।
এক সময় এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সমাজের সর্দার তৈরি হতেন। অর্থাৎ যাঁর গরু শূকর বধ করবে তিনি হবেন জয়ী। পাশাপাশি তাকেই যাদব সমাজের সর্দার করা হত। তবে এখন এর রীতি আর নেই। তবে এখন যাঁর গরু জয়ী হয় তিনি সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান। রীতি মেনে কালীপুজো উপলক্ষে পুজোর পরের দিন এই অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। খেলা শুরু হওয়ার আগে নিজেদের গবাদিপশুকে রীতি-রেওয়াজ মেনে ফুল, কলা এবং সিঁদুর দিয়ে। তারপর হয় খেলা। এখন প্রাচীন এই রীতি বহাল রয়েছে মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
হরষিত সিংহ