এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মালদহের চৌদুয়ার গ্রাম। মিজোরামে রেল সেতু নির্মাণের কাজে বড় ছেলে শাহিন আখতারকে (১৯) নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা তোফিদ শেখ। বৃদ্ধ বাবার কাঁধে সংসারের ভার হালকা করতেই ছেলেও শ্রমিকের কাজ শুরু করে। ইচ্ছে ছিল ভিনরাজ্যে কাজ করে সংসারের খরচের পাশাপাশি পড়াশোনা করবে গ্রামের মেধাবী ছাত্র শাহিন আক্তার। কিন্তু মিজোরামে নির্মিয়মান রেল সেতু দূঘটনায় মৃত্যু হয় শাহিনের। ১০৪মিটার উচ্চতা থেকে শাহিনকে চোখের সামনে পড়তে দেখেন বাবা তোফিদ শেখ।
advertisement
আরও পড়ুন – Weekend Trip: কলকাতার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একান্তে কিছুদিন কাটাতে ঘুরে আসুন মাছরাঙা দ্বীপে
তার মৃতদেহ মালদহে নিয়ে আসেন তিনি। চোখের জল মুছতে মুছতে তোফিদ শেখ বলেন আমি নিচে ছিলাম। ছেলে সেতুর উপরে ছিল। আমার চোখের সামনেই সেতুটা ভেঙে পড়ে গেল। ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। তোফিক সেখ জানান গত মাসের ৩ তারিখে ছেলেকে নিয়ে মিজোরামে গিয়েছিলাম। শাহীন আক্তার বড় ছেলে। ছোট ছেলে বাড়িতে রয়েছে।শাহীন উচ্চমাধ্যমিক ৪১০নম্বর পেয়ে পাশ করেছিল। নার্স হওয়ার ট্রেনিং করবে এমনটা ভেবেছিল। ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালিয়েছেন তোফিদ। এখন বয়স হয়েছে। বাবার কাঁধে নয় , নিজের পড়াশোনার ভাঁড় নিজের কাঁধে নেওয়ার তাগিদে মিজোরামে রেলসেতু নির্মাণকাজে শ্রমিক হিসাবে বাবার হাত ধরছিল। কিন্তু এক ভয়ঙ্কর দূঘটনা সব কেড়ে নিল।আগামীতে কি করবেন তোফিদ শেখ তা জানেন না। তবে ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা তাঁর স্মৃতি থেকে মলিন হওয়া তা অসম্ভব। ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে তোফিদের কান্না কাঁদিয়ে দিল সকলকে।
Harshit Singh