কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের নিয়ে তৈরি ফার্মার্স ক্লাবগুলিকে সার সহ কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির অনুমতি প্রদান করেছে। এই কৃষক ক্লাব বা ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানিগুলিতে ৭৫০ জন কৃষক থাকতে হবে। তবেই ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি হিসেবে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই কোম্পানির মাধ্যমে কৃষকের বিভিন্ন সার থেকে থেকে শুরু করে বীজ ও কীটনাশক ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারবেন। উপরন্তু বাড়তি রোজগার হিসাবে বছরের শেষে লাভ্যাংশের ভাগ মিলবে। মালদহে প্রথম ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির দোকান ও অফিস চালু হল ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রামে।এলাকার মোট চারটি পঞ্চায়েতের কৃষকদের নিয়ে এই কোম্পানি তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
এছাড়াও মালদহের কালিয়াচক, বামোনগোলা, গাজোল ও পুরাতন মালদহ ব্লক সহ জেলাজুড়ে প্রথম পর্যায়ে মোট ১২ টি এমন কৃষক কোম্পানি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২ টি কোম্পানির নাম নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অমৃতিতে ইংরেজবাজার ফার্মাস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের দোকান ও অফিসের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা ঘোষ বর্মন, ব্লক কৃষি আধিকারিক সেফাউর রহমান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২০০ টি এই ধরণের ক্লাব তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মালদহে প্রথম পর্যায়ে মোট ২১ টি তৈরি করা হবে। তবে আপাতত ১২ টির কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ক্লাবের সদস্য কৃষকদের ২ হাজার টাকা করে দিতে হবে। সরকার আবার কৃষক প্রতি ২ হাজার টাকা করে দেবে। মোট ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে ন্যায্য মূল্যের দোকান ও অফিস তৈরি হবে। সার, কীটনাশক সহ অন্যান্য কৃষি সামগ্রী কেনা হবে। ক্লাবের সদস্যরা এখান থেকে নায্যমূল্যে সার, কীটনাশক পাবেন। তবে সদস্য ছাড়া অন্য কোনও কৃষক সেখানে কিনতে এলে তাঁকে বাজারমূল্যে সার, কীটনাশক, বীজ কিনতে হবে। সরকারি এই উদ্যোগের ফলে সারের কালোবাজারি থেকে নকল সার বিক্রি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে আখেরে লাভবান হবেন কৃষকেরা।
হরষিত সিংহ