আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে কোন পথে ভারত? তুলে ধরল দুর্গাপুরের প্রদর্শনী
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর পঞ্চায়েতের কৃষকরা গ্রীষ্মকালে চাষের ক্ষেত্রে সাধারণত বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই বছর কালবৈশাখী না হওয়ায় জল সেচের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এখানে তার কোনও বন্দোবস্ত নেই। যদিও এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরেই জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
advertisement
ইসলামপুরের ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ও উত্তর ভাকুরিয়া মৌজাগুলির মাঠে প্রায় ২০০০ হেক্টর চাষের জমি আছে। এখানকার কৃষকরা মূলত ধান, গম, ভুট্টা, পাট ও সর্ষে চাষ করেন। এখানকার চাষের জমি তিন ফসলি। কিন্তু জল সেচ ব্যবস্থা না থাকায় এ বছর কী হবে তা কেউ জানে না। তবে এলাকার বহু গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি। স্বাভাবিকভাবেই জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এলাকার সম্পন্ন কৃষকরা এই পরিস্থিতিতে চড়া দামে ডিজেল কিনে পাম্প চালিয়ে চাষের জমিতে জল সেচের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয় সেই সকল কৃষকরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সমস্যার কথা কিছু জানাননি। কৃষক আশরাফুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা নেই। বছরে তিনটি করে ফসল চাষ হয়। কিন্তু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জল সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। এদিকে সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় এই বছর চাষের বিপুল ক্ষতি হয়ে যাবে।
হরষিত সিংহ