মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা দ্রৌপদী বসাক। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কাঁচা বাড়িতে বাস করছেন। পরিবারে রয়েছে তার এক ছেলে ও তার পরিবার। অভাবী সংসারে বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না ওই বৃদ্ধার পরিবার। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাননি। গত ৫ আগস্ট ২০২২ সালে মালদহের জেলা শাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের দাবিতে একটি আবেদন জানান। বর্ষার মরশুমে কাঁচা বাড়িতে থাকতে পারছেন না। তাই জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানান। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতে সেই আবেদনপত্র পাঠানো হয় এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙর! জরাজীর্ণ হাসপাতাল! ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
গত ২৫ আগস্ট কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের দুই কর্মী বৃদ্ধার বাড়িতে তদন্তে যান। অভিযোগ তদন্তে গিয়ে ওই দুই কর্মী বৃদ্ধার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ঘর মিলবে না বলে জানিয়ে দেন পরিষ্কার। এমনকি বৃদ্ধার অবর্তমানে প্রতিবেশী এক মহিলার ছবি তুলে নিয়ে চলে যান ওই কর্মীরা। এর পরেই পুনরায় জেলাশাসকের দারস্থ হন ওই বৃদ্ধা। ৩০ আগস্ট জেলা শাসকের কাছে দুই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। যদিও কাজী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ওই বৃদ্ধার আবেদন খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রকল্পের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার জন্য এতদিন পঞ্চায়েত সদস্য জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কাঠমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
এবার তদন্তে গিয়ে সরাসরি সরকারি পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুললেন এক বৃদ্ধা। যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ব্লক বা জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
হরষিত সিংহ





