আমবাগানের ধারে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। সন্দেহ হওয়ায় বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের তৎপরতায় বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকে বেরোবে সোনা, দেখে নিন কোথায় খুলল দেশের প্রথম গোল্ড এটিএম
advertisement
দিনকয়েক আগে মাঠে পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মালদহের দুই শিশু। তারপরে বাড়ির উঠোনেই বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণের গুরুতর জখম হয় দুজন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কিন্তু, এই বোমা মজুতের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদহের মানিকচকের গোপালপুর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা হিসাবেই পরিচিত। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পরে বোর্ড গঠনের সময় এখানে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল দুই ব্যক্তির। চলতি বছরের প্রথমদিকে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। তারপরেই বল ভেবে বোমা কুড়িয়ে বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু।
এ ভাবে একের পর এক বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। এদিন বোমাতঙ্কের খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে আশপাশ অঞ্চল ঘিরে রাখে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। এলাকায় পৌঁছয় দমকল বাহিনী। পরে পদ্ধতি মেনে ব্যাগ খোলায় বেরিয়ে আসে সাতটি কৌটো বোমা। এরমধ্যে দুটি বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় জোরাল বিস্ফোরণও হয়। বাকি বোমাগুলি থেকে অবশ্য বিস্ফোরণ ঘটেনি।
আরও পড়ুন: মন্দার আঁচ আরও তীব্র, এবার কয়েকশো কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে পেপসিকো!
এদিনের ঘটনার পরে বিজেপির মালদা জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল জায়গায় জায়গায় বোমা মজুত করছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ পাওয়া যাবে।"
অন্য়দিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য পাল্টা দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য বিজেপি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।