২৩ আসন রয়েছে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ৯ আসনে। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ৫ আসন, সিপিআইএম পেয়েছিল ৪ আসন ও কংগ্রেস ৫ আসনে জয়ী হয়েছিল। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে মিলেমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: ছিঃ! পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ার ‘অপরাধ’, মর্মান্তিক পরিণতি গৃহবধূর… শিউরে উঠছে বাংলা
advertisement
ফলাফলের ত্রিশঙ্কু থাকায় এই পঞ্চায়েত কার দখলে যাবে সে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই তৎপরতা ছিল। এই বিষয়ে দক্ষিণ মালদহের বিজেপির সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচন গুলির বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে যে যেমন ভাবে বোর্ড গঠন করে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির তার একটি নীতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যে প্রার্থী দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করবে আগামী দিনে পার্টি চিন্তাভাবনা করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
বুধবার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সমস্ত সদস্যরা পঞ্চায়েত গঠনে অংশগ্রহণ করে। বড় জন সদস্যের সমর্থনে প্রধান হন তৃণমূল সদস্য মহিতুন খাতুন ও উপপ্রধান হন বিজেপির সদস্য ববিতা ঝা। তাদের সমর্থন করেন বিজেপির পাঁচ জন সদস্য সিপিএমের চারজন সদস্য তৃণমূলের দুইজন ও কংগ্রেসের একজন সদস্য। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হন তাঁরা। তাই এই পঞ্চায়েত গঠনে বিজেপি তৃণমূল সিপিএম ও কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার হল। চার রাজনৈতিক দল একে অপরকে সমর্থন করেছে।
ত্রিশঙ্কু হলেও বোর্ড গঠন হয়েছে নির্ধারিত সময়েই। তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু জানান, “গ্রাম বাংলার রাজনীতিটা একটু আলাদা এখানে অনেকে তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করে। তবে এই বিষয়ে সেখানকার ব্লকের ব্লক সভাপতি এবং আমাদের দলের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সমর মুখার্জিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।”
হরষিত সিংহ