প্রশাসন জল কর তুলে দেওয়ার পরও মৎস্যজীবীদের থেকে টাকা তোলা নিয়ে ওই সমবায় সমিতির কর্তাদের সাফাই, ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁরা জল কর নেওয়ার লিজ পেয়েছেন। এখনও প্রতিবছর সরকারকে তাঁদেরকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তাই তাঁরা জল কর হিসেবে মৎস্যজীবীদের থেকে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই বিষয়ে ওই সমবায় সমিতির কর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই ব্যবসা করছি। ২০২০ সালে আমরা এর লিজ পাই। ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। প্রতিবছর ১১ লক্ষ টাকার বেশি সরকারি খাতে জমা দিতে হয়। এলাকার কিছু সমাজবিরোধী তাদের মুনাফার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ তুলছে। এর পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের মদত থাকতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত করেন। ওই কর্তার জোরালো দাবি, তাঁরা যা করছেন আইন মেনে করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্বপুরুষের স্মৃতির টানে দু'দশক ধরে বন্ধ চা বাগান আগলে শ্রমিকরা
এদিকে মৎসজীবীদের অভিযোগ, সরকার ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মৎস্য সমবায় সমিতির নামে জল কর নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই জল কর দিতে অস্বীকার করলে মৎস্যজীবীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে মৎস্যজীবীরা মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানান। মৎস্যজীবীদের দাবি তাঁদের অভিযোগ শুনে জেলাশাসক ও মন্ত্রী দু'জনেই জানিয়েছেন, গঙ্গায় মাছ ধরতে গেলে জল কর লাগে না।
এই বিষয়ে এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। তারপরেও মৎস্য সমবায় সমিতিকে জল কর দিতে হওয়ায় ক্ষুদ্ধ মৎস্যজীবীরা। এদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মৎস্য সমবায় সমিতির দাবি, ২০২০ সালে জেলার ডিএলআরও দফতর থেকে জল কর বিষয়ে টেন্ডার ডাকা হয়। সেই টেন্ডারের তাঁরা অংশগ্রহণ করেন। ২০২০ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর জল কর আদায়ের অনুমতি পান। এর জন্য প্রতিবছর খাজনা হিসেবে সরকারকে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৯ টাকা দিতে হয়। তারপরও সরকার জলকরকে কেন বেআইনি বলছে তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলে জানান। এই বিষয়ে সরকার যদি কোনও সুরাহা না করে, তবে বিষয়টি নিষ্পত্তি ঘটাতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে ওই সমবায় সমিতি।
হরষিত সিংহ