শতাব্দীপ্রাচীন মানিকচকের মথুরাপুরে অবস্থিত নীলকুঠিকে কেন্দ্র করে নীল চাষের হাউজের উপর গড়ে ওঠা মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর বিএসএস হাই স্কুলের শতাব্দী প্রাচীন ভবন আজ বিলুপ্তপ্রায়। ইতিমধ্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই ভবনের ১৫টি ঘর। বাকি আর ১৮ টি ঘর ভাঙার পরিকল্পনা চলছে বলেও অভিযোগ। এর জেরেই সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শিক্ষক মহলের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল! সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল লালহলুদের মহিলা ফুটবল দল
স্থানীয় শিক্ষক ও বাসিন্দাদের দাবি, স্কুলের ভবন ভগ্নদশা হলেও স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলের সমস্তটা যেন মুছে ফেলা না হয়। আগামীতে এলাকার ইতিহাস কে স্মৃতি হিসেবে তুলে ধরতে পুরন সেই ভবনকে মিউজিয়াম করে ভবনটিকে হেরিটেজের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ইতিহাস প্রেমীরা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা মানিকচক শিক্ষা নিকেতন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জ্যোতিভূষণ পাঠক বলেন, “বর্তমানে বেঁচে থাকা ভবনের স্মৃতি হিসেবে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক। ব্রিটিশ শাসনকালে প্রায় ১৮৯৩ সালে নীল চাষকে কেন্দ্র করে নির্মিত একাধিক ঘরের উপর স্কুল ভবন নির্মাণ হয়েছিল। তবে খুব দুঃখের বিষয় যে এটি ভেঙে ফেলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই বেঁচে থাকা ৫ থেকে ৬টি ঘরকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হোক।”
আরও পড়ুন: মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা কাণ্ডে শতদ্র দত্তের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ফ্রিজ করল সিট
যদিও এই প্রসঙ্গে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মণ্ডল জানান, স্কুল ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে তা খতিয়ে দেখা হবে। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আগামী পদক্ষেপ নেবে। জমিদার বাহাদুর সিংহ সিংঘী স্মৃতি উদ্দেশ্যে স্কুলটি ১৯৪২ সালে স্থাপিত হলেও। স্কুলের অধিকাংশ ঘর প্রায় শতাব্দীপ্রাচীন। সেই সময় নীল চাষের কার্যভূমির উপর গড়ে ওঠা ঘরেই তৈরি করা হয় স্কুল ভবন। তাই এলাকার নীল চাষ ও জমিদারদের ইতিহাস কে বাঁচিয়ে রাখতে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শিক্ষাবিদরা।