আরও পড়ুন: মন্দিরের চুরি ঠেকাতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলো সিভিক ভলেন্টিয়ার, আশঙ্কাজনক অবস্থা
মৃতের মা-বাবার অভিযোগ, বিষ্ণুকে খুন করেছে তার কাকা। বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙায় বাধা দিয়েছিল সে। তাই তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিবাদ চলছিল বিষ্ণুর কাকা প্রফুল্ল সাহার সঙ্গে। মৃত যুবকরা নিজেদের ভাগের জায়গা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করে। তাতেই বাধা দেয় কাকা প্রফুল্ল সাহা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বুধবার সকালে দু’পক্ষকে থানায় ডেকে মিমাংসা করা হয়। কিন্তু এরপরেও প্রফুল্ল সাহার পরিবারের লোকেরা প্রাচীর ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। সেই সময় বিষ্ণু ওরফ সুকুমার সাহা বাড়িতে একা ছিল। তার পরিবারের বাকিরা তখন মীমাংসার জন্য থানায় হাজির ছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের ভেতর বিষ্ণুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা।
advertisement
এই ঘটনায় প্রফুল্ল সাহা সহ তাঁর পরিবারের মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কাকা প্রফুল্ল সাহাকে আটক করেছে। মৃতের ভাই জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে কাকার পরিবারের বিবাদ চলছে। এই নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশি সভাও বসে। অভিযোগ পেয়ে সমস্যা মেটাতে পুলিশ দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলেছিল। উভয় পক্ষের সদস্যরা থানায় যান। তবে তার দাদা সুকুমার ও কাকার দুই ছেলে দীপঙ্কর ও প্রদীপ থানায় না গিয়ে বাড়িতেই ছিল। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে কাকার দুই ছেলে সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করে। তখন সুকুমার বাধা দিতে গেলে বিবাদ শুরু হয়। দুই ছেলের থেকে ফোনে খবর পেয়ে মীমাংসা হওয়ার আগেই থানা থেকে আগে বাড়ি চলে আসেন কাকু-কাকিমা, এমনটাই দাবি মৃতের ভাইয়ের।এর ঘণ্টাখানেক পরই সুকুমার সাহার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। শুনে তাঁরা বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন, ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে সুকুমার। তড়িঘড়ি করে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আত্মহত্যা নয়, এটা খুন বলে মৃতের পরিবারের দাবি। অভিযোগ পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তার জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা।
হরষিত সিংহ