বর্তমান গৃহকর্তা স্বদেব সরকার একপ্রকার বিছানাসজ্জা। চাকরি নেই ছেলে প্রদীপ সরকারের। ফলে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন সরকার পরিবারের সদস্যরা। অন্তত একটা চাকরি পেলেই বাবার ওষুধের খরচ ও কোনক্রমে সংসার টুকু চালাতে পারবেন বলে দাবি অসহায় ছেলে প্রদীপের। এরইমধ্যে প্রদীপ যোগাযোগ করেছে বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'হৃদয় ' এর সদস্যদের সঙ্গে। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন সরকার বাড়িতে। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁদের।
advertisement
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সদস্যদের দেখেই বৃদ্ধ স্বদেশ সরকার জোড়হাত করে কাতর নিবেদন করেন তাঁদের। ছেলের জন্য চাকরির অনুরোধ করেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দেন সংস্থার সদস্য পল্লব দাস।
সরকার বাড়ির ছেলে প্রদীপ সরকার বলেন, " লকডাউনে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি নেই। একদিকে বাবার ওষুধের খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে চলছে। সেটাও শেষ হয়ে আসছে। জানি না এর পর কি করে সব সামলাবো। তাই যদি একটা ছোট খাটো চাকরি পেতাম তাহলে খুব উপকৃত হতাম।"
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি পল্লব দাস বলেন, " বর্ধমান জেলার প্রতিটি মানুষের কাছে আবেদন একটা কাজ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন সরকার পরিবারের দিকে। তাহলে সরকার পরিবারেও কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে।"
পূর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া বাড়ি টুকুই আছে সম্বল। বড়ো বাড়ি থাকলেও আগের মত সেই ছন্দে চলে না সরকার পরিবার। যেমন মোরচে পড়েছে বাড়ির আসবাবপত্রে। তেমনই পরিবারের আভিজাত্যে ধরেছে ঘুণ। এখন শুধুই চাকরির অপেক্ষায় অসহায় ছেলে প্রদীপ। কবে সুদিন ফেরে সরকার পরিবারে তা তো সময়ই বলবে।
Malobika Biswas