আরও পড়ুন- সাইনাসের যন্ত্রণায় কষ্ট পান? মুখে রাখুন মিছরি
২০২১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালকে ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ (International Years Of Millets) ঘোষণা জন্য একটি রেজোলিউশন নেয়। মিলেট একটি প্রাচীন শস্য যা ভারতীয় উপমহাদেশে ৫,০০০ বছর ধরে চাষ হয়ে চলেছে। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় খাদ্য বাজরা সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে এর পুষ্টিগুণের জন্য। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) অনুসারে, ভারতে সাত ধরনের বাজরা হয়: মুক্তা বাজরা (বাজরা) আঙুল বাজরা (রাগি) অমরনাথ (রামদানা) বাকহুইট বাজরা (কুট্টু) বার্নইয়ার্ড বাজরা (সানওয়া) ফক্সটেল বাজরা (কাংনি) কোডো বাজরা (কোডন)।
advertisement
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে মরিয়া? ভোর থেকে রাত ডায়েটে জুড়ুন এই দক্ষিণ ভারতীয় খাবারগুলি
বাজরা পুষ্টির ভাণ্ডার। দেখে নিন কেন বাজরাকে ‘সুপারফুড’ মনে করা হয়:
১. ওজন কমাতে পারে:
বাজরা শরীরকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং আরও অনেক খনিজ সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, এগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং প্রোটিনও রয়েছে যা স্থূলতা প্রতিরোধ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২. শরীরে বাড়ায় আয়রন:
বাজরা লোহার ভাণ্ডার, ফলে শরীরে লোহার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে মিলেট। আয়রনের ঘাটতি এবং অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে এই শস্য।
৩. হাড় ভালো রাখে:
উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, তামা এবং অন্যান্য এই জাতীয় খনিজ থাকায় বাজরা হাড়ের স্বাস্থ্যকে মজবুত করে তোলে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:
বাজরায় অনেকটা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং উচ্চ মাত্রায় প্রোটিনের উপস্থিতির কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
৫. হার্ট ভালো রাখে:
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিছু বাজরা হৃদরোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
বাজরা এতটাই স্বাস্থ্যকর যে, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকর কার্যকারিতার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাজরা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।