প্রশ্ন : কেন শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ে?
উত্তর: শীতকালে বাতাস অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকে। শুষ্ক শ্বাসনালী অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় এবং কখনও কখনও তা ফুলে যায়, যা হাঁপানির উপসর্গকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ঠান্ডা বাতাস ব্যক্তির শ্বাসনালীতে হিস্টামাইন নামক একটি পদার্থ তৈরি করে, যা অ্যালার্জির আক্রমণের সময়ও নির্গত হয়। হিস্টামাইন হাঁপানি এবং হাঁপানির অন্যান্য উপসর্গকে ট্রিগার করে। তাছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ে যেমন সাধারণ সর্দি বা ফ্লু, ইত্যাদিও হাঁপানির সমস্যার সূত্রপাত ঘটায় শরীরে।
advertisement
আরও পড়ুন : কখন কামড়ায় 'ডেঙ্গি মশা'? লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ! 'সত্যি' জেনে সতর্ক হন সময় থাকতেই
প্রশ্ন: কী করেই বা এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচবেন?
উত্তর: ভোরের দিকে এবং গভীর রাতে বাইরে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করুন। কিছু ক্ষেত্রে একটি স্কার্ফ পরুন এবং সেটি দিয়ে কান নাক মুখ ভালোভাবে ঢেকে নিন।
বাড়িতে হিউমিডিফায়ার থাকলে অবশ্যই সেটি ব্যবহার করুন।
ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।
শীতের আগে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া ভাল।
ধুলো এবং ছত্রাক জাতীয় সমস্যার থেকে বাড়িঘর মুক্ত রাখুন।
ধূমপান একেবারেই কাম্য নয়। অভ্যাস থাকলে এই সময় কঠোরভাবে বর্জন করুন।
নিয়মিত আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন: আগে থেকে কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?
উত্তর: এক্ষেত্রেও কার্যত একই বিষয়গুলি খেয়াল রাখার কথা বলব। ফ্লু ভ্যাকসিন অবশ্যই নিয়ে নিন শীতের আগে। ধুলাবালি, ঠান্ডা এড়িয়ে চলুন। আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। কখন ইনহেলার শুরু করবেন এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন তা সম্পর্কে সচেতন হওয়াটাও খুব জরুরি।
আরও পড়ুন : শরীরের এই ৩ জায়গায় ব্যথা হলে সাবধান! এটাই প্রস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ
প্রশ্ন: খাওয়া বা লাইফস্টাইলের কোনও পরিবর্তন কী সাহায্য করতে পারে?
উত্তর : অ্যালার্জি- প্রবণ খাবার, যেমন বেগুন, ডিম, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন। তুলোর বালিশের পরিবর্তে অ্যান্টি অ্যালার্জিক বালিশ ব্যবহার করুন। আপনার ঘরে যাতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
প্রশ্ন : শিশু ও বয়স্ক মানুষদের জন্য কী বিশেষ কিছু সতর্কতা নেওয়া জরুরি?
উত্তর: ফ্লু ভ্যাকসিন ইজ মাস্ট। ভোরের দিকে স্নান এড়িয়ে চলুন। গরম জল ব্যবহার করুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। যাদের ফ্লুর মতো উপসর্গ ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। ধুলোবালি এবং ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন। ধূমপানের অভ্যেস থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবারে যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের থেকে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদ দূরত্বে রাখাই কাম্য।
