কেন এই তিনটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ
তুলসী, হলুদ এবং কালো মরিচ অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা ব্যথা নিরাময়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তুলসী কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই গাছের পাতাগুলি সাধারণ সর্দি, ভাইরাল, জ্বর, কনজেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় ক্যামফেন, সিনিওল এবং ইউজেনলের উপস্থিতির কারণে এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
advertisement
গোলমরিচ কেন শীতের সাথী?
শরীর ডিটক্সিফাই করা থেকে জ্বর, সর্দি কাশি কমাতেও এর জুড়ি নেই। তাছাড়া কালো মরিচে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদ কেন প্রয়োজনীয়?
কারকিউমিন নামক একটি সক্রিয় যৌগের কল্যাণে পরিপূর্ণ, এই মশলাটি ব্যথা ও ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও, এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্যগুলি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে, দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হয়।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে দাঁত হোক মজবুত, শুধু রোজ ডায়েটে থাক এই ৬ খাবার!
কী ভাবে এই তিনটি উপাদান নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে?
চায়ের সঙ্গে তুলসীর রস, আদার রস ও গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া যায়। বুকে কফ জমলে, গলা ব্যথা হলে, সর্দি, কাশি বা জ্বর হলে ৫-৬ টি তুলসী পাতার সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচ এবং মধু মিশিয়ে ভেষজ চা তৈরি করে পান করা যায়। এই চা শরীরের পক্ষে ভালো। এছাড়া তুলসীর পাতা এমনিতেও চিবিয়ে খাওয়া ভালো শীতকালে।
আরও পড়ুন- ২২-এ হবে ১২-তেই বাজিমাত! উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে খেতে হবে এই বারোটি জিনিস!
হলুদ এবং কালো মরিচ একসঙ্গে খাওয়া যেতে পারে কারণ হলুদে কারকিউমিন নামে একটি সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যা কালো মরিচের সক্রিয় যৌগের সঙ্গে মিলিত হয়ে পাইপেরিন তৈরি করে। এই উপাদান শরীরে কার্সিমিনের শোষণকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কালোমরিচের সঙ্গে একট চিমটে হলুদ মিশিয়ে পাউডার হিসাবে খাওয়া যায়। আবার গোলমরিচ এবং হলুদ মিশিয়ে সেটি দুধের সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যায়।