এখন প্রশ্ন হল, সাদার তুলনায় কি খয়েরি বেশি পুষ্টিকর? দামের দিক থেকে অবশ্য সাদা ডিমের থেকে খয়েরি ডিম অনেক বেশি মহার্ঘ্য৷
আরও পড়ুন : গর্ভে সন্তানধারণ না করেও মা হওয়া যায়, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জেনে নিন আইভিএফ-এর খুঁটিনাটি
সাদা ও খয়েরি ডিমের চেহারাগত পার্থক্য-
সাদা ডিমের কুসুম হলুদ রঙের৷ কিন্তু খয়েরি ডিমের কুসুমে হাল্কা খয়েরি আভা থাকে৷ পিগমেন্টের ফলে খয়েরি ডিমের খোলায় রঙের আভাস থাকে৷ তবে পুষ্টিমূল্যের দিক থেকে কিন্তু দু’টি ডিমই সমান৷
advertisement
প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ফ্যাট, কোলেস্টেরল-সহ একাধিক উপকারী উপাদান আছে ডিমে৷ সাদা ও খয়েরি, দু’ রকম ডিমেই সম পরিমাণ পুষ্টিমূল্য আছে৷ তাই উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে দু’ রকম ডিমই সমান৷
আরও পড়ুন : বোমাবৃষ্টির মধ্যে ইউক্রেনীয় তরুণী বেহালায় জ্যোৎস্না রাত্রির সুর তুলছেন, নেটিজেনদের চোখে জল
স্বাদের দিক থেকেও পার্থক্য আছে৷ কিন্তু কেন এই পার্থক্য? স্বাদের এই পার্থক্যের মূলে আছে যে মুরগি এই ডিম পাড়ছে, সেটি৷ মুরগির একাধিক প্রজাতি আছে৷ সেগুলির মধ্যে হোয়াইট লেগহর্ন সাদা ডিম পাড়ে৷ অন্যদিকে অন্যান্য প্রজাতি যেমন প্লাইমাউথ রকস, রোড আইল্যান্ড রেডস-এর মতো মুরগি যে ডিম পাড়ে, সেগুলির খোলার রং খয়েরি৷ এই প্রজাতির মুরগিদের দামী খাবার দেওয়া হয়৷ তাই সাদার তুলনায় খয়েরি ডিমের দামও বেশি৷ যদি একাধিক প্রজাতির মুরগিকে একইরকম খাবার খাওয়ানো হয়, তাহলে তাদের ডিমের স্বাদে এই বৈচিত্রও থাকবে না৷