মেদিনীপুরজুড়ে বয়ে চলেছে ইতিহাস। মেদিনীপুর শহরের বুকে থাকা নানা ঐতিহ্য এক একটি দিনের সাক্ষী। ইংরেজরা নিজেদের প্রশাসনিক ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল এই শহরকেই, গড়ে তুলেছিলেন প্রশাসনিক ভবন। দিন বদলেছে, রং বদলেছে বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনের। তবুও সেদিনের সেই রং আর ঐতিহ্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে জেলা সদরের এই বাড়ি। জেলার সদর শহরে অবস্থিত ব্রিটিশ সময়ের লাল ভবন আজও সেদিনের স্মৃতি এবং বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৮ বিষয়ের জন্য প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকা চাইছে নামী এই স্কুল, স্নাতক হলেই আবেদন করুন, রইল বিস্তারিত
ব্রিটিশ সময়কালে জেলা শাসন করবার জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর শহরে ভবন স্থাপন করে ইংরেজরা। পরাধীন ভারতে তখন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন। এই ভবন থেকে প্রশাসনিক নানা কাজ সম্পন্ন করতেন ইংরেজ শাসকেরা। ইংরেজ শাসনকালের আগে মেদিনীপুর শহরের অলিন্দে তৈরি করা হয় কাছারি বাড়ি। পরবর্তীতে যা ইংরেজ শাসনকালে জেলা কালেক্টরের অফিস এবং পরবর্তীতে স্বাধীন ভারতে জেলা পরিষদ অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়।
আরও পড়ুনঃ রাতারাতি বদলাবে আবহাওয়া! ফের ঝেঁপে বৃষ্টি? ১২ ডিগ্রির নিচে নামছে পারদ! কাঁপুনি শুরু জেলায় জেলায়
মেদিনীপুর শহরেই রয়েছে এই লাল বাড়ি, যা বর্তমানে জেলা পরিষদ ভবন। বেশ এই প্রাচীন বাড়ির নেপথ্যে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। রয়েছে একাধিক ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতার কাহিনী।মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত তৎকালীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন লাল ভবন। বর্তমানে এই ভবন থেকে জেলা পরিষদের অফিস চলে। স্বাধীনতার আগে ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ সরকারের আধিকারিকদের বৈঠক চলাকালীন এই জেলা পরিষদ ভবনে বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করেছিলেন অত্যাচারী জেলাশাসক ডগলাসকে। নেতৃত্বে ছিলেন বাংলার দুই বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য এবং প্রভাংশু পাল।





