পুষ্টি উপাদান:
আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বিশেষ করে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডে (এএলএ) ভরপুর। অন্য দিকে আমন্ড খনিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। সঙ্গে রয়েছে ৩৯ শতাংশ ফ্যাট। যার মধ্যে ২৫ শতাংশ হার্টকে সুস্থ রাখার উপযোগী মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এ ছাড়া রয়েছে কার্ব এবং প্রোটিনও।
ওজন কমানোর জন্য:
advertisement
দুটোতেই পুষ্টিগুণ আছে। কিন্তু ওজন কমানোর ব্যাপারে আখরোটের তুলনায় বেশি কার্যকরী আমন্ড। নিয়ম মেনে ও প্রতি দিনের ডায়েটে রাখলে মেদ কমাতে প্রভূত সাহায্য করে আমন্ড। বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কী ভাবে ওজন কমায়?
অল্প কিছু আমন্ড খেলেই পেট লম্বা সময় ধরে ভরা থাকে। তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর আমন্ড শরীরের মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে, যা ওজন কমাতে প্রভূত সাহায্য করে।
হার্ট ভালো রাখে:
আমন্ডে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এর প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হার্টের কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমের জন্য খুব উপকারী। আমন্ডের অন্যতম কাজ হল, খারাপ কোলেস্টেরলকে ভালো কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করা। এর ফলেও হার্ট ভালো থাকে।
মস্তিষ্কের জন্য আখরোট:
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে আখরোট অদ্বিতীয়। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় শরীরের কোলেস্টেরলকে বাড়তে দেয় না।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সের পর নতুন সম্পর্ক শুরু করতে চাইছেন? ভেবে দেখুন কিছু বিষয়
কী ভাবে আমন্ড এবং ওয়ালনাট ডায়েটে রাখা যেতে পারে?
কাঁচা আমন্ড সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে তার পর খোসা ছাড়িয়ে সকালে বা দুপুরের স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। আখরোট ভেঙে কাঁচা খাওয়াই উপকারী। ভাজতে গেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
দিনে কটা করে?
প্রতি দিন ডায়েটে ৭-৮টা আমন্ড রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। আর আখরোট ২টো। বাদামের মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু খুব বেশি খাওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
