শীতকালে নিজের চোখ ভাল রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন দিশা আই হসপিটালসের কর্নিয়া বিভাগের ডা. সোহম বসাক।
– কম আর্দ্রতা এবং ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে শুষ্ক চোখের লক্ষণগুলি আরও বাড়তে পারে। তাই বাইরে সানগ্লাস ব্যবহার করা ভাল। এছাড়াও, দূষিত শহরের ধোঁয়াশা চোখের জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। বাইরে থেকে ফিরে আসার পর চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে এবং আরামের জন্য লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
advertisement
– শরৎ-শীত এবং শীত-বসন্তের সন্ধিক্ষণে বাতাসে কিছু পরাগ এবং অ্যালার্জেন কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। কুয়াশা বা ধোঁয়াশার কারণে এই কণাগুলি বাতাসে বেশিক্ষণ থাকে। এর ফলে চোখ থেকে জল পড়া, চুলকানি এবং লাল হয়ে যাওয়ার মতো অ্যালার্জির লক্ষণ বৃদ্ধি পায়। শিশু এবং তরুণরা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী লুব্রিকেন্ট আই ড্রপ এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জি আই ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
আরও পড়ুন : অ্যাসিডিটি, অখিদে, পেট ফাঁপা…বদহজমের বদলে পাকস্থলীর ক্যানসার নয় তো! এই মারণরোগের লক্ষণগুলি জানুন
– শীতকাল ধান তোলার সময়। কৃষকরা প্রায়ই মাঠে কাজ করার সময় বা ধান মাড়াইয়ের প্রক্রিয়ার সময় চোখে আঘাত পান। চোখ রক্ষা করার জন্য সাধারণ প্লাস্টিকের চশমা ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল উপায়। আঘাতের ক্ষেত্রে নিজে নিজে ওষুধের দোকান থেকে কিনে কোনও ওষুধ না লাগানোই উচিত হবে, কোনও দেশীয় চোখের ড্রপ ব্যবহার করও চলবে না। সব সময়ে একজন স্থানীয় চক্ষু বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এই সময়ে আমরা কর্নিয়ার আলসারেরও একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে পাই, যা প্রায়ই নিজে নিজে ওষুধ ব্যবহারের কারণে আরও খারাপ হয়। আলসার একটি গুরুতর অবস্থা এবং সেরা চিকিৎসার পরেও অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে আমাদের কৃষকরা খুব কমই চোখের সুরক্ষার জন্য কিছু ব্যবহার করেন এবং ফলস্বরূপ আলসারে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান।
