আরও পড়ুন-আপনারও এই পাঁচটি কারণে চুল পড়ছে না তো? দেখে নিন মিলিয়ে
কাঁচা লঙ্কা কি আদৌ ওজন কমাতে পারে?
কাঁচা লঙ্কায় ক্যাপসাইসিন নামে পরিচিত একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা বিপাকীয় হার বাড়ায় এবং চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তা ছাড়া, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঁচা লঙ্কা যুক্ত করলে ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতেও সাহায্য করে, যার ফলে শরীরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতাও ঠিক থাকে। কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, এ, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন শরীরকে লালন করতে সাহায্য করে।
advertisement
২০০৮ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, লঙ্কার মধ্যে উপস্থিত ক্যাপসাইসিন নামের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা পেটের চর্বি হ্রাস করতে পারে।
কতটা লঙ্কা খাওয়া যেতে পারে?
পরিমিত পরিমাণে কাঁচা লঙ্কা খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিকই, তবে এর অর্থ এই নয় যে ঝাল স্বাদের কাঁচা লঙ্কা প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এটি খেতে হবে পরিমাণ বুঝে এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি মেনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ডিজিটাল দৈনিকে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওজন কমাতে ৪-৫ গ্রাম পর্যন্ত এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দিনে ৬ গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা লঙ্কা খাওয়া যেতে পারে। তবে কীভাবে এই কাঁচা লঙ্কা ডায়েটে যোগ করা হচ্ছে সেটার উপরেই নির্ভর করে সব কিছু।
আরও পড়ুন-পছন্দের জাঙ্ক ফুডেই হবে স্বাস্থ্য রক্ষা ! কীভাবে? রইল টিপস
কীভাবে ডায়েটে কাঁচা লঙ্কা যোগ করা উচিত?
যেহেতু কাঁচা লঙ্কা ঝাল স্বাদের হয় তাই একগাদা খেলে এর প্রভাব শরীরের উপর নেতিবাচক হতে পারে এবং কোলাইটিস, পেটের আলসার এবং বুকজ্বালা হতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে কাঁচা লঙ্কা খেতে হবে। স্যালাড, স্টু, সবুজ স্মুদি, চাটনি, আচার এবং তরকারিতে, ওমলেট বা পছন্দের খাবারে সামান্য করে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে খাওয়া যায়।