বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে কিছু দূরে অবস্থিত এই জমিদারবাড়ির বয়স প্রায় ২৫০ বছর। প্রশাসনিক নথি ঘাঁটলে দেখা যাবে, আনুমানিক প্রথম ১৫০ বছর এই বাড়ি বাসযোগ্য ছিল। ১৭৪০ সালে চন্দ্রকোনা থেকে নিজের পরিবার এবং এক হাজার তাঁতিকে নিয়ে বোলপুরে বসতি গড়েন জমিদার লালচাঁদ সিংহ। এরপরেই তার ঠিক ৪০ বছর পর, ১৭৮০ সালে লালচাঁদের ছেলে শ্যামকিশোর সিংহ জমিদারবাড়ি তৈরিতে হাত দেন। যে জমির উপর বাড়ি তৈরি হয়, সেটিকে নিয়ে আশপাশে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমি ছিল তাঁদের। তার মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি পুকুর ছিল। এখনও বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে।
advertisement
রায়পুর জমিদারবাড়ির সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথের সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরাও। ৭০ দশকে ছাত্রাবস্থায় দেবেন্দ্রনাথের ওই ঘর নিয়ে গবেষণা করেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন। ঘরের দেওয়ালে কিছু কিছু লেখা এবং দেবেন্দ্রনাথের স্বাক্ষর ছিল বলে জানান তিনি। কিন্তু বর্তমানে সেই সবের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঘরটি এখন প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বার্ধক্যেও বড়লোকের বিটি লো-র স্রষ্টার নিত্যসঙ্গী চরম অভাব, পথে পথে গান শোনান নবতিপর রতন কাহার
একসময় বহু সিনেমার শুটিং হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মৃণাল সেনের “খণ্ডহর” সিনেমা। সময়টা তখন ১৯৮৪ সাল আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে বোলপুরের অদূরে রায়পুর রাজবাড়িতে খণ্ডহর ছবির শুটিং করেছিলেন বিখ্যাত চিত্রনাট্য পরিচালক মৃণাল সেন। বোলপুরের রায়পুর রাজবাড়িতে নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমিদের নিয়ে খণ্ডহর চলচ্চিত্রের শুটিং করেছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন। তাই এবার বোলপুর গেলে এই জায়গা যেতে একদম ভুলবেন না কিন্তু। বোলপুর স্টেশন থেকে যে কোন্ টোটো করে আপনি পৌঁছে দিতে পারবেন এই রাজবাড়ি।
সৌভিক রায়





