TRENDING:

Weekend Trip: পাহাড়, ঝর্না, ড্যাম, ঘন জঙ্গল, সুরঙ্গ, গুহা...! কী নেই 'এই' জেলায়, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন

Last Updated:

Weekend Trip: বাঁকুড়ার এমন একটি গ্রীষ্মের ছুটির ডেস্টিনেশন, যেখানে রয়েছে স্বপ্নের মতো সুন্দর পাহাড়, সেই পাহাড়ের বুক বেয়ে বয়ে চলেছে ঝর্না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার এমন একটি গ্রীষ্মের ছুটির ডেস্টিনেশন, যেখানে রয়েছে স্বপ্নের মতো সুন্দর পাহাড়, সেই পাহাড়ের বুক বেয়ে বয়ে চলেছে ঝর্না। পাহাড় ঘিরে রয়েছে সবুজ বনানী। রয়েছে রঙিন আদিবাসী গ্রাম যেখানে ভেষজ রঙের দেওয়াল চিত্র, যা মনে করিয়ে দেবে প্রাগৈতিহাসিক যুগ, রয়েছে মন্দির এবং ট্রেকিং করার ব্যবস্থা। শুশুনিয়া ঘুরে আসার এটাই একদম ‘পারফেক্ট টাইম’! গরম অবধারিত ভাবে পড়তে চলেছে। তার আগে কিছুটা কালবৈশাখীর জন্য ভোরবেলা থেকে শুশুনিয়া পাহাড় ঢেকে রয়েছে কুয়াশায়। পর্যটকের ভিড় সামান্য বাড়ছে প্রাগ ঐতিহাসিক পাহাড়ের তলায়।
advertisement

শুশুনিয়া পাহাড়ের আশেপাশে রয়েছে থাকার একাধিক জায়গা। মরুতবাহা ইকোপার্ক থেকে শুরু করে, যুব আবাস। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে রয়েছে রাত্রিবাসের সুযোগ। কলকাতা থেকে সরাসরি চলে আসুন বাঁকুড়া স্টেশন। বাঁকুড়া থেকে বাসে করে কিংবা গাড়িতে করে ছাতনা হয়ে শুশুনিয়া। শুশুনিয়া পাহাড়ের তলায় দু’দিন থাকলেই ঘুরে দেখা হয়ে যাবে পাহাড়, জম ধারা, শিউলি বোনা, ভরতপুর।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ইউরিক অ্যাসিডের যম ছোট্ট এই ‘লাল’ ফল, শরীরের প্রতি কোণা থেকে টেনে বের করে জেদি টক্সিন! ব্যথা-বেদনা গায়েব

বাঁকুড়া জেলার প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। পাহাড়ে ওঠার মুখ্য রাস্তার পাশে এই অবস্থান করছে নরসিংহ মন্দির। মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন লোককথা এবং বিশ্বাস। নরসিংহ মন্দিরের সামনেই প্রাচীনকাল থেকে বয়ে চলেছে একটি ক্ষুদ্র ঝর্ণা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এই ঝর্ণা কখনওই থামে না। ঝর্না থেকে শীতকালে নির্গত হয় গরম জল এবং গ্রীষ্মকালে বেরোয় ঠান্ডা জল। ঝর্ণার সামনেই রয়েছে একটি পুকুর, আঞ্চলিক নাম গড়। এই গড়েই জমা হয় ঝর্ণার জল। তবুও কোন দিন একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে ওঠে না গড়ের জলস্তর।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ গরম পড়তেই শুকিয়ে যাচ্ছে বাগান-ছাদ বাগানের গাছ? মানুন ছোট্ট ‘ট্রিক’, ডাল ভেঙে পড়বে ফুলে-ফলে, রইল বিশেষজ্ঞের টিপস

চন্দ্র বর্মার শিলালিপি। পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে একটি দুর্গম গুহায়, খুঁজে পাবেন ইতিহাসের ছোঁয়া। সঙ্গে শুশুনিয়া পাহাড়ের দুর্দান্ত বনজ সম্পদ। পাহাড় ছেড়ে রয়েছে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদে। বাঁকুড়া জেলার প্রাকৃতিক প্রাণ ভোমরা শুশুনিয়া পাহাড়। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতি বছর জমা হন অসংখ্য পর্যটক।

advertisement

যদি ওই ঝর্ণার উৎস এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঝর্ণার সামনের গড়ের ইতিহাস স্থানীয়দের একাংশের মতে নরসিংহ মন্দিরের মহিমান্বিত। গরমের দাবদাহ পুরোপুরি প্রবেশের আগে এখনই বোধহয় সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শুশুনিয়া পাহাড় ঘুরে দেখার। একপ্রকার আদিবাসী সংস্কৃতি, প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ভেষজ উদ্ভিদের সম্ভার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি দুর্দান্ত কম্বিনেশন বাঁকুড়ার এই পর্যটন কেন্দ্র।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইতিহাসের নীরব সাক্ষী বর্ধমানের এই দিঘি..! কৃষ্ণসায়রের 'অজানা' ইতিহাস শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
আরও দেখুন

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Weekend Trip: পাহাড়, ঝর্না, ড্যাম, ঘন জঙ্গল, সুরঙ্গ, গুহা...! কী নেই 'এই' জেলায়, গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল