এই স্থানের একদিকে ভুটান, উল্টোদিকে ভারত। মাঝে বয়ে যায় তিতি নদী।এলাকার অপরূপ সৌন্দর্য মন কাড়বে পর্যটকদের।মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের লঙ্কাপাড়া বাগানের শ্রমিক কর্মচারীরা এই পর্যটন কেন্দ্রটি সাজিয়ে তুলছেন। ২০১৪ সাল থেকেই বন্ধ আলিপুরদুয়ার থেকে ৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত জেলার সবচেয়ে বড় বাগান, লঙ্কাপাড়া চা বাগান। তবে বাগান বন্ধ হওয়ার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েন প্রায় ২২০০ শ্রমিক। অভিযোগ, বাগান বন্ধ থাকায় কার্যত সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল লঙ্কাপাড়া। জেলা পুলিশের তরফে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িও তৈরি করা হয়। বাইরের লোক তো দূর অস্ত, আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দারাও খুব বেশি প্রয়োজন না হলে লঙ্কাপাড়ার দিকে যেতেন না। আজ সেই ছবি যেন অতীত। বর্তমানে এখানে স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এক পর্যটন কেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন : মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষ, শীতের মুখে পর্যটনশূন্য হয়ে দিন কাটছে অরণ্যসুন্দরীর
২০২২ সাল থেকে এলাকার বাসিন্দারা উদ্যোগ নেন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার। পাহাড়চূড়ায় ওয়াচ-টাওয়ার, আই লাভ লঙ্কাপাড়া লেখা সেলফি পয়েন্ট, দোলনা দিয়ে সাজানো হয় এলাকাটি। জন গুরুং নামের এক এলাকাবাসী জানান, “বেকার সমস্যা দূর করার জন্য আমরা এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছি।বহুদিন ধরে এই চা বাগান বন্ধ রয়েছে। ফলে এখানকার সমস্যা খুব দ্রুত বাড়ছিল।পর্যটন কেন্দ্র হওয়ার ফলে দুটো পয়সার মুখ দেখছেন বাসিন্দারা।”
এখানে আসতে হলে প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়াতে আসতে হবে। সেখান থেকে যে কোনও গাড়িতে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র।