রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো জ্বলতে থাকা পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য মন জয় করে নেবে নিমিষেই। এখানেই শেষ নয় রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, তার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় বন ফায়ারের সামনে বসে বার-বি-কিউ খাবার মজা, আলাদাই অনুভূতি এনে দেয়। শীতের ছুটিতে নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে কালিম্পংয়ের এই গ্রাম গোকুলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের ছুটি ছারখার! রাত পোহালেই আমূল বদলাবে আবহাওয়া, কোথায় কোথায় বৃষ্টি? জানুন পূর্বাভাস
ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গোকুলে একদম নতুন একটি গ্রাম। এতদিন পর্যন্ত এই গ্রামের কথা সকলের কাছে অজানা থাকলেও ধীরে ধীরে এই গ্রাম পর্যটকদের কাছে পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার সঙ্গে পর্যটনে নয়া পালক জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। শীত শুরু হতে না হতেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে গ্রামে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই গ্রামের অবস্থান।
অপরূপ এই পাহাড়ি গ্রামে যেমন রয়েছে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চাষ হয় বিভিন্ন অর্গানিক শাক-সবজি। গ্রামের হোমস্টের মালিক গুঞ্জন তামাং বলেন, “উত্তরের পর্যটনে নয়া পালক হিসেবে জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। পর্যটকরা অফবিট জায়গার খোঁজ করেন। তাদের জন্য এই জায়গাটি দুর্দান্ত।”
গোকুলে যেতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা, বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে যেতে হবে। পথে পাবেন কখনও কুয়াশা, কখনও মেঘের আনাগোনা। পৌঁছে যাবেন কালিম্পং, এরপর কালিম্পং স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে ৩০ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন গোকুলে। আর এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে অনেক হোমস্টে-তে রয়েছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা।
অনির্বাণ রায়