হিমেল বাতাস যেন স্বাগত জানাচ্ছে শীতকে।শীতকাল মানেই বাঙালির কাছে এক উৎসবের মরশুম ও এক ভিন্ন রকম আমেজ। শীতকাল মানে ভ্রমণ, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানো আর এই ভ্রমণ তালিকায় পিকনিক ও চিড়িয়াখানা থাকবে না, তা কি হয় ? তাই এই সময় চিড়িয়াখানাগুলিতে থাকে প্রচুর ভিড়। কিন্তু আপনি চিড়িয়াখানা দেখতে চান, ভিড় না ঠেলেই ? তাহলে আপনি ঘুরে আসতে পারেন বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্কে। বর্ধমানের গোলাপবাগে অবস্থিত বর্ধমান জুওলজিক্যাল পার্ক বা রমনাবাগান তৈরি রাজ আমলে যার প্রাকৃতিক শোভা আজও মন জয় করে নেয় পর্যটকদের।
advertisement
শহর জুড়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বড় বড় আধুনিক অট্টালিকা, কিন্তু এই রমনাবাগানে পা রাখলেই আপনি হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে।এখানকার সবুজ গালিচা, প্রাচীন বৃক্ষরাজি আর নিস্তব্ধতা আপনাকে মুহূর্তেই ভুলিয়ে দেবে নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা।আর এখানে ঢুকলেই দেখা মিলবে উট পাখি, সিলভার ফিজেন্ট, হিমালয়ের গ্রিফন শকুন মদনটাক-সহ নানা প্রজাতির পাখির।রয়েছে চিতা বাঘ,ভাল্লুক, হরিণ-সহ আরও নানা প্রাণী।
আরও পড়ুন : ১ ফালি কুমড়োর কামাল! মুখ হবে নিখুঁত ফুটফুটে দাগহীন! ঝলমল করবে পূর্ণিমার জ্যোৎস্নার মতো!
রোদ পোহানো কুমির হতে পারে আপনার সেলফির সঙ্গী। পাখিদের কিচিরমিচিরের মাঝেই দেখা মিলবে ময়ূরের।বন আধিকারিক জানান, ‘‘নভেম্বর থেকে আমাদের পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। তাই এই সময় আমাদের কিছু বিশেষ প্রস্তুতি থাকে। প্রথমত যেমন এই সময় পর্যটকদের ভিড় সামলানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়, অনেক সময় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হয়। কারণ ডিসেম্বরে একদিনে ২৫ হাজার পর্যন্ত পর্যটক আসেন এখানে। দ্বিতীয়ত বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর। ঝরে যাওয়া পাতা পরিস্কার থেকে এলাকায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক পরিষ্কারের দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়।’’
পরিবার, বন্ধু বা প্রিয়জনকে নিয়ে ভিড় ঠেলে নয়, বরং প্রকৃতির মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চাইলে এই স্থানটিই হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। এখানকার গাছের শান্ত ছায়ায় বসে কাটানো সময় আপনার শীতকালীন অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও মধুর। এমনকি বাচ্চাদের বন্যপ্রাণী জগৎ সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করার জন্যও এটি এক দুর্দান্ত গন্তব্য।





