ইতিমধ্যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মালদহ শাখার পক্ষ থেকে গৌড় সহ জেলার প্রতিটি ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলির সৌধ গুলির পাশে নতুন করে ডাইরেকশন বোর্ড লাগানো হয়েছে। এই বোর্ডগুলিতে সৌধ গুলির নাম সহ ইতিহাস ও অন্যান্য বর্ণনা থাকছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার বিভাগের অফিসার সৌমেন্দু রায় বলেন, পর্যটকদের জন্য এটি একটি ভাল খবর। গৌড়ের ইতিহাস সম্বন্ধে তাঁরা জানতে পারবেন। তিনটি ভাষায় লেখা থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের সুবিধা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাড়ের ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যানসার, দূরে রাখে এই শাক! জানুন চিকিৎসকের মত
প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ে, দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ঘুরতে আসে ইতিহাসের টানে। কিন্তু জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে গাইড না থাকায় সঠিক ইতিহাস জানতে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। তাই পর্যটকদের সুবিধার জন্য ইতিহাস বর্ণনা করে বোর্ড লাগানো হয়েছে প্রতিটি স্থানে। বাংলা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে ইতিহাসকে। এর ফলে বাংলাভাষা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক ও বিদেশি পর্যটকরা সহজেই গৌড়ের ইতিহাস জানতে পারবেন এই বোর্ডগুলি থেকে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মালদহ শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌড়ের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট গুলিতে মোট ৪২ টি বোর্ড লাগানো হয়েছে। ১৭ টি সাইড রয়েছে গৌড়ে। স্থানগুলির ইতিহাস পথ দেখানো ও সচেতনতার বোর্ড লাগানো রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্যই এই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে।
হরষিত সিংহ