Mysterious Diya: মহাভারতের যুগের রহস্যময় বিশালাকার প্রদীপ, হাতের কাছে থাকলেও অনেকের অজানা! দেখতে মন চাইলে ঘুরে আসুন 'এই' জায়গায়
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরের পঞ্চপাণ্ডব তলায়, ঠিক তখনই দেবী কুন্তি এই বিশাল আকার প্রদীপ নিয়েই সন্ধ্যা দেখিয়াছিলেন কোটাসুরের আরাধ্য দেবতা দেবাদিদেব মহাদেব মদনেশ্বরকে।
বীরভূম জেলায় আজও জ্বলছে মহাভারতের যুগের প্রদীপ! তবে কোথায় জ্বলে এই প্রদীপ, আপনি কি জানেন? জানলে হয়ত সত্যিই আপনিও চমকে উঠবেন, কারণ জায়গাটা আপনারও চেনা! তবে জায়গাটা চেনা হলেও আপনি কি দেখেছেন এই প্রদীপ? বীরভূম মানেই ইতিহাস বা পৌরাণিক কাহিনী সমৃদ্ধ একটি জেলা। সেই বীরভূম জেলার কোটাসুর গ্রামকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার সম্ভার। রয়েছে মহাভারত যোগও! (ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়)
advertisement
কমবেশি সকলেরই জানা এই প্রদীপের ইতিহাস। এই প্রদীপ আজও মহাভারতের সাক্ষী বহন করে চলেছে, যা আজ স্থান পেয়েছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার অন্তর্গত কোটাসুর মদনেশ্বর শিব মন্দিরে। অবাক হয়ে যাবেন এই প্রদীপের আকৃতি দেখে! কথিত আছে পঞ্চপাণ্ডব ও দেবী কুন্তি যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন এই বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরের পঞ্চপাণ্ডব তলায়, ঠিক তখনই দেবী কুন্তি এই বিশাল আকার প্রদীপ নিয়েই সন্ধ্যা দেখিয়াছিলেন কোটাসুরের আরাধ্য দেবতা দেবাদিদেব মহাদেব মদনেশ্বরকে।
advertisement
আর সেই প্রদীপ আজও কোটাসুরের বুকে সংরক্ষিত আছে কোটাসুরের আরাধ্য দেবতা মদনেশ্বর শিব মন্দির চত্বরে। তবে কোটাসুর গ্রামের যুবকদের প্রচেষ্টায় দীপাবলীর সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় সেই প্রদীপটি। কয়েক লিটার তেল ঢেলে জ্বালানো হয় সেই প্রদীপ। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, বেশ কয়েক বছর ধরে দীপাবলীর সন্ধ্যায় এই প্রদীপটি জ্বালানো হলেও প্রতি সন্ধ্যায় এই মন্দিরে জ্বালানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা এই প্রদীপ। কারণ এই প্রদীপের যা আকৃতি, তাতে কয়েক লিটার তেল ধারণের ক্ষমতা রাখে।
advertisement
আর যা জ্বালাতে গেলে প্রত্যেক দিন কয়েক হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে। ঝড় বৃষ্টি ও প্রখর রোদের মধ্যে পড়ে আছে এই প্রদীপ। আর যার কারণে এই প্রদীপের বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়েছে। তবে সেই স্মৃতি আগলে অর্থাৎ মহাভারতের যুগের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সেই প্রদীপের সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। যদি সংরক্ষণ করা যায় তাহলে হয়ত যেটুকু ক্ষত পড়েছে সেই ক্ষত সরিয়ে আরও কয়েক যুগ প্রজন্ম ধরে ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী এই মহাভারত যুগের প্রদীপ, কয়েক প্রজন্মের মানুষ হয়ত দেখতে পাবে এবং এলাকায় প্রাণ ঐতিহাসিক যুগে ইতিহাসের সঙ্গে কোটাসুরের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
advertisement
আর এই দীপান্বিতা দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে কোটাসুরের আরাধ্য দেবতা মদনেশ্বর শিবের দ্বার রক্ষক দ্বারবাসিনী কালীর বাৎসরিক উৎসবকে কেন্দ্র করে জমায়েত হয়েছে হাজার হাজার ভক্ত আর এই উৎসবে মায়ের ভক্তরা ফুল ফল নৈবেদ্য বিভিন্ন মিষ্টি সহ মালা এনে মায়ের পুজো দিয়ে থাকেন। তবে এই প্রদীপটি কী আদতে মহাভারতের যুগের! এই বিষয়ে একটি স্কুলের ইতিহাস শিক্ষক অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই প্রদীপটি মহাভারতের যুগের কিনা বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলা যেতে পারে বেশ কয়েক বছর পুরনো এই প্রদীপ। (ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়)