আজ থেকে কয়েকশো বছর পেছনে গেলে দেখা যাবে, এককালে এটি ছিল এক যুদ্ধক্ষেত্র। মোগল পাঠানের যুদ্ধ হয়েছিল এই সকল এলাকায়। গড়ে ওঠে দুর্গ। এমন সুন্দর একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা রয়েছে কলকাতা থেকে খুব কাছে পিঠে। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকা নয়াগ্রাম ব্লকের নেকড়াশোল থেকে মাত্র দু থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওড়িশার রাইবনিয়া ফোর্ট বা দুর্গ। চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় রয়েছে এই দুর্গ। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ওড়িশা রাজারা কটক এবং পুরী শহরকে রক্ষা করার জন্য সুবর্ণরেখা নদীর পশ্চিম তীরে রাইবনিয়া দুর্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।এই দুর্গের গঠনশৈলী, সামনে থাকা মন্দির এবং গ্রামীণ এলাকায় এই ইতিহাস-ক্ষেত্র ঘুরে দেখলে আপনার মন ভাল হবে। জানতে পারবেন তৎকালীন সময়ের নানা ইতিহাস।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এছাড়াও এই দুর্গ থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা রাজবাঁধ। বেশ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ যেন গাছের আচ্ছাদনে ঘিরে রেখেছে। বিকেলের যেন এক অসাধারণ ভিউ। পাশেই জমানো জল। ঠান্ডা ফুরফুরে মেজাজ থাকে সারাক্ষণ। রয়েছে বসার জায়গা, সবুজ গাছে ঘেরা একটি বাঁধ ঘুরে দেখলে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রেম ভেঙে যাবে ভাবছেন? একবার সঙ্গীকে নিয়ে এই জায়গায় আসুন! ভাঙা তো দূর জমে যাবে ভালবাসা!
বাংলা ওড়িশা সীমানায় রয়েছে একাধিক ইতিহাস। জড়িয়ে রয়েছে রাজাদের কাহিনি। বাংলা ওড়িশা সীমানার দাঁতন থেকে সামান্য কিছুটা দূরে বর্তমানে ওড়িশা রাজ্যের অধীন রাজবাড়ি, ইতিহাসক্ষেত্র এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি কৃত্রিম বাঁধ ঘুরে দেখলে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। বাংলা ওড়িশা সীমানা দাঁতন থেকে মাত্র তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরেই রয়েছে লক্ষণনাথ রাজবাড়ি। বিশাল এলাকা জুড়ে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজাদের তৈরি অট্টালিকা, রয়েছে একাধিক শিবের মন্দির, দূর্গা মণ্ডপ সহ একাধিক দেখার জিনিস। শুধু তাই নয়, রাজাদের বানানো এই রাজবাড়ির ভেতরেও ঘুরে দেখা যাবে। রয়েছে নানান ইতিহাসের খনি।
রঞ্জন চন্দ