অনেকের কাছে এই গ্রাম মেঘের দেশ হিসেবেও পরিচিত। তবে এই গ্রামের মূল আকর্ষণ ব্রিটিশদের হাতের তৈরি ২৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এক বিশালাকার লাল রঙের চিমনি। কার্শিয়াং থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মনমুগ্ধ করা এই চিমনি পাহাড়,এই গ্রামে প্রবেশের পথেই চারিদিকে আকাশ ছোয়া পাইন গাছ দুহাত দিয়ে স্বাগত জানাবে আপনাকে এর পর গ্রামে ঢুকতে ঢুকতেই মেঘেদের লুকোচুরি খেলা মন মুগ্ধ করবে আপনার। তবে জানেন কি যে এই গ্রামের নাম চিমনি কেন ? তাহলে শুনুন ৭,১৫০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত চিমনি গ্রামে ব্রিটিশদের তৈরি একটি চিমনি রয়েছে। যেটা তৈরি করা হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
শোনা যায়, সেই সময় দার্জিলিং যাওয়ার জন্য এই চিমনি গ্রামের রাস্তা ধরতেন ব্রিটিশরা। রাত কাটাতেন এই গ্রামেই। অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই চিমনি তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় ১০০ বছরেরও পুরনো এই চিমনি বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই চিমনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চিমনি হেরিটেজ গার্ডেন। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক ভিড় জমাচ্ছে নিরিবিলি এই পাহাড়ি গ্রামে। বর্তমানে পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই চিমনি পাহাড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক হোমস্টে। এই প্রসঙ্গেই গ্রামের এক স্থানীয় বাসিন্দা দীপেন থাপা বলেন এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বরাবরি মন মুগ্ধ করে পর্যটকদের। ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশরা দার্জিলিং যাওয়ার পথে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে এই চিমনিতেই রাত্রি যাপন করতেন। বর্তমানে একশ বছরের পুরনো সেই চিমনি কে দেখতে এখনো ভিড় জমায় পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন: সাদা-মাটা ঘরকে কম খরচে সাজিয়ে তুলুন! সামান্য বদল করলেই রাজকীয় হবে ঘর
চারিদিকে সারি সারি পাহাড় আকাশ ছোঁয়া পাইনবন রংবেরঙের নাম না জানা পাখিদের ডাক, মেঘেদের ভেলা যেন সব ভুলিয়ে আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। এই গ্রামে একবার আসলেই আর ফেরত যেতে মন চাইবে না। তবে শীতের ছুটিতে সুযোগ পেলে আপনিও ঘুরে আসুন মন মুগ্ধ করা প্রকৃতি এবং ইতিহাসের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা পাহাড়ি ছোট্ট গ্রাম চিমনি থেকে।
সুজয় ঘোষ