পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ী, ১৭০২ সালে পুজোর দায়িত্বভার পরিবর্তন হয়। তখন বর্ধমানের ঝাঁঝরা গ্রাম থেকে ব্যবসায়িক সূত্রে বাবুইজোড়ে এসে বসতি স্থাপন করেন বাবুরাম দে। গোস্বামী পরিবার আর্থিক সঙ্কটে পড়ে পুজোর ভার তাঁর হাতে তুলে দেয়। সেই থেকে দে পরিবারের বংশধররাই এই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে পুজো করে আসছেন।
দে পরিবারের সদস্য অনিরুদ্ধ দে জানান, ” আমাদের প্রথম পুরুষ বাবুরাম দে ও তাঁর স্ত্রী এখানে আসেন। ইংরেজি ১৭০২ সাল থেকেই পুজোর দায়িত্বভার আমাদের হাতে। আমাদের পূর্বপুরুষরা স্বদেশী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পিকেটিংও করেছিলেন তাঁরা।” তাঁর কথায় স্পষ্ট, দেবী এখানে শুধুমাত্র দুর্গা নন, স্বাধীন ভারতের প্রতীকী রূপে ‘ভারতমাতা’ হিসাবেও পূজিতা হন।
advertisement
এই পুজোর অন্যতম বিশেষ রীতি হল, অষ্টমীর মহাপুজোর পর আর কোনও সন্ধ্যা আরতি হয় না। স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় এই পুজোতেই মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতেন দে পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে গ্রামে একাধিক দুর্গাপুজো হলেও দে পরিবারের এই প্রাচীন পারিবারিক পুজো বিশেষ মর্যাদা পায়। পরিবারের বহু সদস্য সারা বছর দেশের নানা প্রান্তে থাকলেও দুর্গাপুজোর চারদিনে তারা একত্রিত হন এই মিলনমেলায়।