বর্তমানে এই পুজোর অন্যতম হোতা এবং পরিবারের নবম প্রজন্ম অরুন কুমার বিশ্বাস বলছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ রামমোহন বিশ্বাসের হাত ধরে এই দুর্গাপুজো শুরু হয়। তাঁদের আগের পদবী ছিল গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁরা বিশ্বাস উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁদের পূর্বপুরুষ ছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব আলিবর্দি খানের খাজাঞ্চি। মুর্শিদাবাদ থেকে চলে আসার পর তিনি এই জায়গায় পুজো শুরু করেন তাঁর গুরুদেবের নির্দেশে।
advertisement
চারদিন ধরে দুর্গাপুজো উপলক্ষে এখানে বিশাল আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেকেই এখন বাইরে থাকেন। কিন্তু পুজোর সময় সকলেই ফিরে আসেন। মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে এখানে কামান দাগার নিয়ম ছিল। যদিও বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কামান দুর্ঘটনার পর থেকে সেই নিয়মে বদল এসেছে। পরিবর্তে সন্ধিক্ষণের মহাপুজোয় শূন্যে গুলি চালানো হয়। জ্বালানো হয় মশাল।
পুজোর ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা এখনও প্রাচীন ঠাকুর দালানটিকে ধরে রেখেছেন আগের মত করে। নিয়মিত সাফ-সাফাই করা হয়। মেরামত করা হয়। পুজোর আগে নতুন রঙে সাজিয়ে তোলা হয় বহু প্রাচীন এই ঠাকুরদালানটি। পুজোর ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরনো এই ঠাকুর দালানটিকে টিকিয়ে রাখা পরিবারের সদস্যদের কাছে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। যদিও সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তাঁরা সাফল্যের সঙ্গেই করছেন।
নয়ন ঘোষ





