কান পাতলেই শোনা যাবে পাখিদের কলরব। প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্য ধরা দেয় এখানে। বিশাল জলরাশি, পার ঘেঁষে রয়েছে বড় বড় গাছ। একটু চোখ তুলে তাকালে চোখে পড়বে চাষের জমি, দিঘির পারে সারি সারি খরের গাদা। দিঘির পাড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে গরু ছাগল হাঁস । অদূরেই গ্রামের সহজ সরল মানুষ গায়ে গতরে সেইসব চাষের জমিতে ফসল ফলাতে ব্যস্ত। এই স্থান শহুরে মানুষের কাছে এ যেন আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকার অক্সিজেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কয়েক বছর আগে আরও সৌন্দর্য ভরপুর ছিল। বিশাল দিঘি জুড়ে রংবেরঙের পদ্ম ফুল ফুটতো এখানে। তবে এখনও নানা রকমের পরিযায়ী পাখি আসে। সারা বছর বিভিন্ন পাখি দেখা মেলে। শীতের সময় আরও বেশি রকমের পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। শীতের সময় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে বহু মানুষ এখানে আসেন পিকনিক করতে।
স্থানীয় মানুষের কথায় জানা যায়, নস্কর দিঘি বা পদ্মদিঘি নামে পরিচিত এই স্থান। এখানে বহু মানুষ আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দোলের সময় এখানে অনুষ্ঠান হয় কয়েক দিনব্যাপী। গ্রামের ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষ ভিড় জমায়। সারা বছর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ এখানে আসে। এখানের দিঘি ও তার চারিপাশহ মোট ১৮৫ বিঘা জমি জুড়ে এই স্থান যা ভীষণভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে।হাওড়া আমতা রাজ্য সড়ক এবং পাতিহাল রেল স্টেশন থেকে কয়েক মিনিটের পথ।
রাকেশ মাইতি