রাস্তার সারমেয়দের ( Street Dog) সুরক্ষা নিয়ে আমরা অনেকেই আওয়াজ তুলে থাকি, কিন্তু বাড়িতেও যে বাজি পোড়ালে বাড়ির পোষ্যদের সমস্যা হতে পারে সেই কথা ভুলে যাই। আমাদের আনন্দের আগে বাড়ির পোষ্যদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন। কী ভাবে তাদের সুরক্ষিত রাখা যায়, জেনে নেওয়া যাক-
পোষ্যদের চোখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে
advertisement
দীপাবলিতে প্রচুর আলো জ্বলে, বাড়ির ভিতরেও আমরা বাতি জ্বালাই, লাইট জ্বালাই বিভিন্ন ধরনের যা পোষ্যদের চোখে লাগতে পারে এবং সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের চোখ ঢেকে রাখা প্রয়োজন এই সময়। এর জন্য এমন কোনও ঘরে তাদের ঢুকিয়ে রাখতে হবে যেখানে মোটা মোটা পর্দা রয়েছে এবং খুব বেশি আলো নেই। তবে, বেশিক্ষণ একটা ঘরেও আটকে রাখা যাবে না, তাতে বিরক্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন : লাউপাতার কোলে সর্ষেমাখা মাছ, ‘ভিল ফুড’-এর ঠাকুমার রেসিপিতে ভাইফোঁটায় রাঁধুন ইলিশ পাতুরি
কান ঢাকা রাখার ব্যবস্থা
মাথায় রাখতে হবে, বাজির আওয়াজ কুকুরদের শ্রবণ ক্ষমতায় সমস্যা করতে পারে। শ্রবণ ক্ষমতা এর জন্য কমেও যেতে পারে। তাই বাড়িতে কোনও এমন ঘরে রাখতে হবে তাদের যেখানে আওয়াজ কম পৌঁছায়।
নাকের যেন ক্ষতি না হয়
বাজি থেকে বের হওয়া ধোঁয়াতে সমস্যা হতে পারে পোষ্যর। শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। তাই ঘরের হাওয়া যাতে পরিষ্কার থাকে, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : দীর্ঘ স্ক্রিনযাপনে ক্লান্ত চোখ? নিয়মিত যত্ন নিন এ ভাবে
লোমে যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
কুকুরের গায়ের লোমে খুব তাড়াতাড়ি আগুন লেগে যাতে পারে। তাই বাজি পোড়ানোর সময়ে তাদের দূরে রাখা ভাল, বিশেষ করে তাদের লেজের অংশে যেন কোনও ভাবেই আগুনে ফুলকি না লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ফার্স্ট এইড বক্স রাখতে হবে হাতের সামনে
পোষ্যর যদি সামান্য কিছু হয়েও যায় তাকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাতের সামনে ফার্স্ট এইড বক্স রাখতে হবে। তাতে অ্যান্টি-অ্যাংজাইটির ওষুধও রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন : ভিটামিন বি-১২-র ঘাটতি হয়নি তো শরীরে? এই লক্ষণগুলি দেখলেই সতর্ক হন
সব শেষে আসা যাক রাস্তার কুকুরদের কথায়-
এরা রাস্তায় থাকে, ফলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই সময় তাই বাড়ির পার্কিংয়ে বা কোনও নিরাপদ জায়গায় এদের আশ্রয় দেওয়া দরকার। এই সময় তাদের খাবার দেওয়া দরকার। এবং অবশ্যই জল রাখা দরকার। এদের সামনে বাজি পুড়িয়ে এদের ভয় দেখানো উচিত নয়। নিজের আনন্দের পাশাপাশি আশেপাশের সকলের সুরক্ষার দিকেও নজর দেওয়া আমাদের কর্তব্য।