কিন্তু সত্যি বলতে কি, সারা বছর টুকটাক বাইরের খাবার তো চলতেই থাকে। তারওপর পুজোর সময়েও…! চার দিন যদি নির্ভেজাল বাড়ির রান্না হয়, তাহলে? হ্যাঁ, হ্যাঁ, ভূরিভোজের ব্যবস্থাই হবে। সেটাও একেবারে রেস্তোরাঁ স্টাইলে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় থালি। এতে মন ভরবে নিশ্চয়। এখন অনেকেই বলতে পারেন, ‘থালি তো সাজাতে জানি না’! কুছ পরোয়া নেই। তারও উপায় বাতলে দেওয়া হল। থালি ছাড়া যে কোনও রান্নার সংস্কৃতিই অসম্পূর্ণ। থালির প্রতিটা খাবার এবং উপাদানের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। পুজোর সময় যেহেতু থালির আয়োজন, তাই থালিতে খাবার সাজানোর পদ্ধতি বলা হল এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন : ইলিশ রাঁধার সময় এই ভুলগুলো একদম করবেন না, সহজ টিপসে অটুট রাখুন মাছের স্বাদ ও গন্ধ
থালিতে খাবার সাজানোর সঠিক পদ্ধতি: আগে মাটিতে আসন পেতে বসতে হবে, তারপর শুরু হবে পরিবেশন। থালা রাখার পর মাঝখানে থাকবে ভাত এবং রুটি। রুটি জাতীয় অন্য খাবারও মাঝখানেই থাকবে। ভাজা, ফল, শুকনো সবজি বা ভাজির মতো শুকনো খাবার থাকবে থালির নিচের ডানদিকে। উপরের ডানদিকে থাকবে সব তরকারি। এগুলো গ্রেভি-সহ পরিবেশন করাই উচিত। এমনকী রসের মিষ্টিও থালার ডানদিকেই রাখতে হবে। ভাত এবং রুটির উপরের বামদিকে থাকবে চাটনি, দই, পাঁপড় এবং স্যালাড। তাছাড়া গুড়ের তৈরি কোনও খাবার কিংবা আচার বা হালুয়া থাকলে সেটা ভাত, রুটির সামনে পরিবেশন করতে হবে। ভাতের সামনে আরেকটা জিনিস রাখতে হবে সেটা হল লেবু এবং নুন।
খাবার আগে খাওয়া: এ তো গেল থালি সাজানো কথা। খাবারও কিছু নিয়ম আছে কিন্তু। ভারতে পাককৌশল নিয়ে গাদা গাদা গ্রন্থ আছে। তেমনই রয়েছে খাবারের ধরন নিয়েও। তরকারি বা অন্য কোনও পদ নয়, খাবার শুরু করতে হবে টক, তেতো এবং নোনতা খাবার দিয়ে। এটা অনেকটা আজকের যুগের স্টার্টারের মতো। তাছাড়া মেন কোর্স শুরুর আগে অর্থাৎ স্নান সেরে উঠে আদা, লেবু এবং সৈন্ধব লবণদিয়ে তৈরি পানীয় পানেরও বিধি রয়েছে। এটা ক্ষুধা বাড়ায়।
আরও পড়ুন : মুখের সব ত্রুটি নিমেষে দূর, পুজোয় নিখুঁত সুন্দরী হওয়ার সহজ সাজ-টিপস
খাবার আগের আচার: স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে, সুগন্ধি লাগিয়ে তবেই খেতে বসা উচিত। খাবার আগে হাত, মুখ পরিষ্কার ভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বাড়ির পশু-পাখিদের খাবার দেওয়ার পরেই সদস্যরা খেতে বসবেন। আর হ্যাঁ, খাবার মুখে তোলার আগে অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা উচিত।