তাঁদের হাতছানি দেয় তিস্তার বুকে ঘুরে বেড়ানো ময়ূরপঙ্খী, পক্ষীরাজ, লক্ষ্মী, সুন্দরীরা। এগুলো সবই নৌকাগুলির নাম। মাঝের একমাস বর্ষায় এই তিস্তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের কপালে ভাজ ফেলেছিল। এখন সেই তিস্তাই অনেকের রুজি রুটির উপায়। আসলে তিস্তা কেড়ে নিলেও দু হাত ভরে ফিরিয়ে দিতেও কুন্ঠা করে না। নৌকায় উঠলেই জনপ্রতি গুনতে হবে মাত্র ৫০ টাকা। এরপর যতদূর ভ্রমণ, সেরকম ভাড়া।
advertisement
মাঝি ভাইদের কথায়, বর্ষার পর পুজোর আগমনী সময় থেকে নৌকা চালিয়েই সংসার চলে তাঁদের। বছরের অন্যান্য সময় কৃষিকাজই ভরসা। তবে তা নিয়েও খানিক আক্ষেপের সুর তাঁদের গলায়। কারণ, এই কম মূল্যেও অনেকেই দর কষাকষি করেন। তাই কখনও বাধ্য হয়েই কম মূল্যে ঘোরাতে হয়। অন্যদিকে, তিস্তাপার সংলগ্ন দোমহনি তিস্তা পারে “আই লাভ দোমহনি” ফলকের সামনে যুবক-যুবতীদের সেল্ফি কিংবা রিলস বানাতে ভিড় দেখা যায়। সেই রিলস তৈরির পর্ব চলে তিস্তার বুকে নৌকায় চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে করতেও।