অলস্পাইসের পাতা কিছুটা পুরু, চকচকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অলস্পাইসগাছের পাতায় রয়েছে পাঁচ রকমের মশলার ঘ্রাণ। জায়ফল, জয়ত্রী, লবঙ্গ, দারুচিনি ও গোলমরিচ—সব ঘ্রাণ একসঙ্গে! এ কারণেই হয়তো নাম হয়েছে অলস্পাইস। পাতা ছায়ায় শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখা হয়। সেই গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিদেশে একে বলা হয় কারি পাউডার। বাঙালির রান্নাকে সুস্বাদু করতে এই পাতা ব্যবহার হয় বলে জানিয়েছেন গার্ডেনিয়ার গৌতম পাল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দাঁত-মাইগ্রেনের ব্যথা দু-মিনিটে ‘ভ্যানিশ’! এক চিমটে হেঁসেলের ‘এই’ উপাদান, হাজার রোগ থেকে মুক্তি
অলস্পাইসের ইংরেজি নাম পিমেন্টা বা জ্যামাইকান পিমেন্টা। একে মির্টেল পেপার নামেও ডাকা হয়। অলস্পাইসগাছে ফুল ফোটা শুরু হয় মে মাস থেকে, ফল পাওয়া যায় অগাস্ট পর্যন্ত। থোকা ধরে প্রচুর ফল হয়। ফলগুলি ছোট জামের দানার মতো গোলাকার। কাঁচা ফলের রং সবুজ, পাকলে কালো হয়ে যায় ধীরে ধীরে। সাধারণত কাঁচা ফল সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা ফল রোদে শুকিয়ে বাদামি করা হয়। কাঁচা পাতা রোদে শুকিয়ে তেজপাতার মতো ব্যবহার করা যায়।
বাড়ির বাগানে কয়েকটা অলস্পাইসগাছ থাকলে সারা বছর বাড়ির বাতাসে একরকমের সুঘ্রাণ উপভোগ করা যায়। এ গাছ বাঁচে প্রায় ১০০ বছর। বীজ ও শাখা কলম করে চারা তৈরি করা যায়। শিলিগুড়ির ফুল মেলায় এই গাছ নিয়ে এসেছিলেন গৌতম পাল। তিনি বলেন, “এই গাছ আমি এনেছিলাম কেরল থেকে। কেরালায় এই গাছ অতি সহজলভ্য। এই গাছের পাতায় সব ঘ্রাণ লুকিয়ে রয়েছে। এই পাতা ব্যবহার করলে অন্য মশলা দিতে হবে না। বিরিয়ানি, মাংস রান্না করার সময় এই পাতা ব্যবহার করা হয়।”
অনির্বাণ রায়