জগৎবন্ধু ছিলেন সুন্দর একজন বৈষ্ণব ধর্মগুরু, সমাজ-সংস্কারক ও লেখক। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের প্রতি বিশেষ সহানূভূতি প্রকাশের কারণে তিনি “জগদ্বন্ধু” উপাধী লাভ করেন এবং এই নামেই বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও বৈষ্ণব ধর্মীয় সঙ্গীত বা কীর্তন সংগ্রহ, রচনা এবং পরিবেশনের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর পিতার নাম ছিল দীননাথ চক্রবর্তী এবং মাতার নাম বামাসুন্দরী দেবী।২০০০ থেকে ২০০৩ সালে নবকলেবরে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মন্দিরের গায়ে বৈষ্ণব তীর্থ খোল করতালের বিভিন্ন মন্ত্র খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা আছে যা এই মন্দিরের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তুলেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বীরভূমের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন শিব মন্দির কোনটি জানেন? কোন জেলায় রয়েছে বলুন তো?
১৮৭১ সালের ২৮ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার ডাহাপাড়াতে দিননাথ চক্রবর্তীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বৈষ্ণব গুরু তথা লেখক প্রভু জগৎবন্ধু। তবে পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের ফরিদপুর গ্রামে। জানা যায়, প্রভু জগৎবন্ধু ধর্ম প্রচার ও ধর্ম প্রচারের সঙ্গে ধর্মীয় কিছু সংগীত ও কাব্যগ্রন্থ লিখে গেছেন যা হল হরি কথা, ত্রিকাল। প্রভুর শেষ জীবন কেটেছে কৈশর লীলা ব্রাহ্মণ কান্দায়। ১৯০৩ সালের জুলাই মাসের ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলো বাতাসের মাটির ঘরে তপস্যয় নিয়োজিত থাকার খবর দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯২১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বর্তমানে এই মন্দির ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটনক্ষেত্র। মন্দিরের পাশাপাশি দেখা যাবে সুসজ্জিত ফুলের বাগান। দৈনন্দিন দুপুরে কুপন সংগ্রহ করলে অন্ন প্রসাদ পেতে পারেন ভক্তরা। এখানে যেতে গেলে দু’ভাবে আসা যায়। লালগোলা গামী ট্রেনে মুর্শিদাবাদ ষ্টেশনে এসে সেখান থেকে নৌকা পারাপার করে টোটোতে চেপে ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছানো যাবে। অন্যদিকে, হাওড়া গামী ট্রেনে ডাহাপাড়া ষ্টেশনে নেমে চার কিমি দুরে অবস্থিত এই মন্দির। এছাড়াও সড়ক পথে আসা যাবে হাজারদুয়ারী থেকে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে ডাহাপাড়া জগৎবন্ধু মন্দিরে।






