দ্বিতীয় দিন চলে যান কবিগুরুর স্মৃতিধন্য মংপুতে। দেখুন টেগোর মিউজিয়াম আর অর্কিড হাউস। যাওয়ার পথেই পাবেন ছোট্ট পাহাড়ি দামাল নদী ‘রিয়াং খোলা’ আর সেই কমলালেবুর গ্রাম। পরেরদিন অর্থাৎ তৃতীয় দিন যেতে হবে লাটপাঞ্চার, অহলদারা ভিউ পয়েন্ট। এই জায়গা গুলো এখন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পাখির দেখার পাওয়ার জন্যে।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ের এই জায়গায় দাঁড়ালে হাতের মুঠোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা! শীতে মিলতে পারে স্নো-ফলের মজা, রইল ঠিকানা
advertisement
আকাশ ভরা মেঘ, আর মেঘের মাঝে পাহাড়৷ শীতকালে চারিদিকে কমলালেবুর বাহার৷ এই হল কার্শিয়াং-এর সিটং গ্রামের পরিচয়৷ এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন পাঁচ পোখরি, লাটপানচার, মংপু, আহালদ্বারা। পাখি প্রেমী যারা ঘুরে এসেছেন এখান থেকে, তাঁরা বলেছেন তাঁরা নাকি ষোল রকমের পাখি দেখেছেন এখানে। পাহাড়ের কোলে থাকা ছোট্ট সিটং যেন প্রকৃতির কোনও চিত্রকরের নিখুঁত তুলির টান৷ লেপচাদের এই গ্রাম কমলালেবু চাষের আঁতুরঘর৷
আরও পড়ুনঃ ধনতেরাসে বনবন করে ঘুরবে ভাগ্য! ঝাঁটার সঙ্গে একটি নিয়মেই জীবনে পরপর টাকার ধামাকা, সুখে মুড়বে পরিবার
প্রত্যেক বাড়িতে রয়েছে সুন্দর অর্কিডের বাগান৷ কমলালেবুর বাগানের মাঝ দিয়ে একেবেঁকে চলে গেছে ছোট্ট রিয়াং নদী৷ আর সময় পেলে ঘুরে আসতেই পারেন মংপুতে কবিগুরুর বাসভবন৷ সিটং থেকে লাবদা, সিক্সিন হয়ে ট্রেক করে চলে যাওয়া যায় চটকপুর আবার বাগোরা হয়ে কার্শিয়াং।সিটং ভ্রমণের সেরা সময় হলো নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, যখন সমগ্র গ্রামের গাছগুলো কমলালেবুতে ভরে যায়। এ জন্যেই তো সিটংয়ের আরেক নাম অরেঞ্জ ভ্যালি।
তিনদিক থেকে যাওয়া যায় সিটং। সবচেয়ে ছোট রাস্তা শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে৷ দ্বিতীয় রাস্তা শিলিগুড়ি থেকে রামভি ও মংপু হয়ে৷ তৃতীয় রাস্তা কার্শিয়াং থেকে দিলারাম হয়ে বাগোরা ও ঘরেয়াতার দিয়ে৷ এখানে থাকার জন্য প্রচুর হোমস্টে রয়েছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকার জনপ্রতি খরচ রয়েছে। তাই আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রামে।
অনির্বাণ রায়





