এই অভিনব মিষ্টি তৈরি হয় সুজি, তেল, নুন, চিনি, লঙ্কা, বেশন এবং বিভিন্ন মশলার নিখুঁত মিশ্রণে। ফলে এতে তৈরি হয় ঝাল ও মিষ্টির এক অদ্ভুত রোমাঞ্চকর সংমিশ্রণ। মুখে দিলেই প্রথমে ধরা দেয় মিষ্টির কোমল স্পর্শ, তারপর ধীরে ধীরে জেগে ওঠে লঙ্কা ও মশলার ঝাঁজ। এই স্বাদের বিপরীত মেলবন্ধনই চন্দ্রকোনাকে করে তুলেছে সত্যিই অনন্য ও স্মরণীয়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
চন্দ্রকোনার আরও একটি বিশেষ দিক হল এর সীমিত প্রাপ্যতা। এই মিষ্টান্ন শুধুমাত্র গোবাগ মোড়ের একটি নির্দিষ্ট দোকানেই তৈরি ও বিক্রি হয়। দাম মাত্র ছয় টাকা হলেও, স্বাদের অনন্যতার জন্য এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রথমে কেবল স্থানীয় মানুষদের মধ্যেই জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু এখন গোবাগ ছাড়িয়ে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে ‘চন্দ্রকোনা’ নামটি।
মিষ্টি আর ঝাল, এই দুই বিপরীত স্বাদকেও যে সফলভাবে একসঙ্গে আনা যায়, তা চন্দ্রকোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আজ চন্দ্রকোনা শুধু একটি মিষ্টান্ন নয়, গোবাগের গর্ব এবং পুরুলিয়ার মিষ্টির মানচিত্রে এক উজ্জ্বল সংযোজন। এই সৃজনশীল প্রয়াস আমাদের মনে করিয়ে দেয়। আসল স্বাদ শুধু উপকরণে নয়, বরং চিন্তা ও কল্পনার সাহসিকতাতেই লুকিয়ে থাকে।
শান্তনু দাস