সমাজবিজ্ঞানী তথা বিশেষজ্ঞদের মত, আর্থিক স্বাধীনতাই মেয়েদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে একা থাকার বার্তা ৷ এবং সাম্প্রতিক সমীক্ষা ও ধারা বলছে বিবাহিতাদের তুলনায় সিঙ্গল মহিলারাই বেশি সুখী এবং একা থাকা নিঃসঙ্গতা নয় ৷ বরং অনেক আনন্দের ৷ একই কথা বলছেন লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের বিহেভিরাল সায়েন্সের অধ্যাপক পল ডোলান ৷ তাঁর কথায়, আধুনিক সমাজে সন্তানহীনা সিঙ্গল মহিলারাই সবথেকে সুখী মনে করেন নিজেদের ৷ ডোলানের কথায়, ‘‘বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি সুবিধে পেয়ে উপকৃত হন পুরুষরাই ৷ সিঙ্গল পুরুষের তুলনায় বিবাহিত পুরুষদের জীবন অনেক বেশি গোছানো ৷ ’’ কিন্তু এই সূত্র মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ৷ মনে করেন অধ্যাপক ডোলান ৷
advertisement
ডোলানের দাবি, আজকের মেয়েদের ক্ষেত্রে ছবিটা ঠিক বিপরীত ৷ অনেক সময়েই কর্মরতা আধুনিকারা বিয়ের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ৷ জীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাইছেন না তাঁরা ৷ শহুরে সমাজে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে মধ্যবয়সে পৌঁছে সিঙ্গল মহিলাদের তুলনায় বিবাহিতারা অনেক বেশি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ছেন ৷
আরও পড়ুন : রেলগাড়ি যেন আস্ত রাজপ্রাসাদ! রাজকীয় সুখ ও বিলাসের ঠিকানা দেশের সবথেকে দামি ট্রেন
গবেষণা ও লিঙ্গভিত্তিক মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক ভাল আবেগপ্রবণতাকে সামলাতে পারেন ৷ কিন্তু বিয়ের পর বিশেষ করে কর্মরতাদের উপর চাপ অনেক বেড়ে যায় ৷ মানসিক ও কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা ৷ পুরুষরা অনেক বেশি স্ত্রীর উপর নির্ভর করেন, ফলে মহিলাদের উপর চাপ অনেক বেড়ে যায় ৷ একদিকে পুরুষ যখন চাপমুক্ত হয়ে পড়েন, মেয়েদের ক্ষেত্রে ছবিটা হয় ঠিক উল্টো৷
আরও পড়ুন : চুলের যে কোনও সমস্যাতেই ম্যাজিক! পাতলা চুলও ঘন হয়ে যাবে, শুধু এ ভাবে ব্যবহার করুন এই উপাদান
সাম্প্রতিক ছবি বলছে সিঙ্গল পুরুষদের তুলনায় সিঙ্গল মহিলারা জীবন অনেক ভাল করে উপভোগ করতে পারেন ৷ তাই বিবাহিত জীবন নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ছেন তাঁরা ৷ একটা প্রশ্নকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেন আজকের মেয়েরা-‘আমাকে কতটা আপস করতে হবে?’ এর উত্তরের উপরই নির্ভর করে তাঁদের জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত ৷