কিডনি স্টোন
এই সবজিটিতে বেশি পরিমাণে অক্সালেট নামে এক ধরনের অরগ্যানিক অ্যাসিড রয়েছে। তাই যাদের কিডনি স্টোন রয়েছে তাদের বেশি মিষ্টি আলু খেলে ব্যথা ও উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।
পেটে অস্বস্তি
মিষ্টি আলুতে ম্যামিটোল, সুগার অ্যালকোহল নামে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট অথবা পলিওল রয়েছে৷ যদিও কার্বোহাইড্রেট খেলে কোনও ক্ষতি হয় না,কিন্তু বেশি কার্বোহাইড্রেট পেটের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য অস্বস্তি বাড়াতে পারে৷ যার ফলে রোগীর ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা এবং পেট ফাঁপা হতে পারে৷ তাই পেটের সমস্যায় ভুগলে মিষ্টি আলু কম খাওয়াই উচিত৷
advertisement
আরও পড়ুন : ওমিক্রনের দাপটে সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যে যে খাবার সম্পূর্ণ না থাকলেই ভাল
ডায়াবেটিস
আলুর তুলনায় মিষ্টি আলুতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে এবং তুলনায় স্বাস্থ্যকরও। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মিষ্টি আলু ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে৷ ফাইবার বেশি এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায়, মিষ্টি আলু শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে এটিই আবার ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন : ওমিক্রন মোকাবিলায় নতুন বছরে আমাদের মানতেই হবে এই নিয়মগুলি
হার্টের সমস্যা
মিষ্টি আলুতে পটাসিয়াম থাকায় এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে হাইপারক্যালেমিয়া অথবা পটাসিয়াম টক্সিসিটি হতে পারে এবং এমনকী হার্ট অ্যাটাক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : হাড়ের সুস্থতা থেকে ভাল ঘুম, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের অবদান অনেক
অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এই সবজি ভিটামিন A-তে ভরপুর। তাই এই ভিটামিন বেশি খেলে ভিটামিন A টক্সিসিটি হতে পারে৷ যার ফলে মাথা ব্যথা এবং র্যাশের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘকালীন সমস্যা হিসাবে ভুরুর চুল পড়া সহ আংশিক চুল পড়া, ঠোঁট ফাটা এবং রুক্ষ্ম-শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, এমনকী লিভারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কতটা খাওয়া উচিত
মহিলাদের দৈনিক ৭০০ মাইক্রোগ্রাম এবং পুরুষদের ৯০০ মাইক্রোগ্রাম আরডিএ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যার বেশি খেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ এছাড়া কিডনি, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা থাকলে মিষ্টি আলুর খাওয়ার ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে।